তৈরির কয়েক মাসেই ফেটে চৌচির নীল রাস্তা, মহকুমা শাসকের কাছে অভিযোগ
বর্তমান | ২০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, কাটোয়া: তৈরির কয়েক মাসের মধ্যেই আউশগ্রামের কালিকাপুরের নীল রাস্তায় ফাটল দেখা দিয়েছে। রাস্তার মাঝ বরাবর ইতিমধ্যেই ফেটে চৌচির। এমনকী, একই রাস্তা নাকি দু’বার করে পিচ দেখানো হয়েছে বলে অভিযোগ। এত তাড়াতাড়ি নতুন রাস্তা ফেটে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁরা প্রশাসনের কাছে ঠিকাদারের নামে নালিশ জানান। ঘটনায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে আউশগ্রামজুড়ে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আউশগ্রাম-২ ব্লকের অমরপুর পঞ্চায়েতের কালিকাপুর ফুটবল মাঠ থেকে মুচিডাঙা আদিবাসী পাড়া পর্যন্ত পিচ রাস্তা তৈরি করা হয়েছিল। তার জন্য ২০২৩-’২৪ অর্থবর্ষে ৬ লক্ষ ২৫ হাজার ৭৫০টাকা খরচ হয়। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষেও একই রাস্তা ৫ লক্ষ ৬৬ হাজার ৬৬৬টাকা খরচ করে গ্রিন সিলকট সহ বিটুমিন রাস্তা তৈরি করা হয়। অভিযোগ, একই রাস্তা দু’বার করে পিচ দেখিয়ে নাকি টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। বর্তমানে রাস্তার অবস্থা খুবই খারাপ। রাস্তার মাঝ বরাবর ফেটে গিয়েছে। এত তাড়াতাড়ি নীল রাস্তা ফেটে যাওয়ায় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। তাঁদের আরও অভিযোগ, কালিকাপুর গ্রাম বলিউড-টলিউডের শ্যুটিংস্থল হিসেবে পরিচিত। কয়েকদিন আগেই ওই গ্রামে শ্যুটিং করে গিয়েছেন টলিউড সুপারস্টার দেব। গ্রামে দেশ-বিদেশের মানুষের আনাগোনা রয়েছে। নীল রাস্তা তৈরি করায় অনেকেই প্রশংসা করেছিলেন। কিন্তু, এখন নতুন রাস্তা তৈরির মধ্যেই ফেটে চৌচির হয়ে যাওয়ায় সমস্যা বেড়েছে। গ্রামের বাসিন্দাদেরও যাতায়াতের অসুবিধা হচ্ছে। গ্রামের দুই বাসিন্দা সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের নামে মহকুমা শাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
বর্ধমান সদর উত্তরের মহকুমা শাসক তীর্থঙ্কর বিশ্বাস বলেন, রাস্তাটি তৈরি হওয়ার সময় আমি নিজে গিয়েছিলাম। এখন যদি ফেটে যায়, তাহলে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে শোকজ করা হবে। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, একই রাস্তা দু’টি ধাপে করা যায়। সেটি নির্ভর করে কত টাকা বরাদ্দ হচ্ছে এবং রাস্তা কীভাবে তৈরি হবে, তার উপর। তাই ডিসপ্লে বোর্ডেও দু’টি ধাপের কথা উল্লেখ রয়েছে। কিন্তু গ্রামের বাসিন্দাদের একাংশের অভিযোগ, একবারই পিচ ঢালা হয়েছে। অথচ রাস্তাটি নাকি দু’বার তৈরি করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মহকুমা শাসক।