• রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির প্রথম সম্মেলন
    বর্তমান | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, ঝাড়গ্ৰাম: ঝাড়গ্রামে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশন ঝাড়গ্রাম জেলা কমিটির প্রথম জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। রবিবার শহরের রবীন্দ্র পার্কে রাজ্যের মন্ত্রী তথা সংগঠনের চেয়ারম্যান মানসরঞ্জন ভুঁইয়া প্রদীপ জ্বালিয়ে সম্মেলনের সূচনা করেন। মঞ্চে দাঁড়িয়ে তিনি জেলা কমিটির কাজের দিক নির্দেশও করে দেন।

    মানসবাবু বলেন, সংগঠনের জেলা কমিটির ভিতর বিরোধী দলের সদস্যরা লুকিয়ে আছে। কিন্তু সংগঠনের অনেক সদস্য আছেন, যাঁরা দলকে ভালোবাসেন। তাঁরা হেনস্তার শিকার হচ্ছেন। এটি চলতে দেওয়া যায় না। যারা সংগঠনের ক্ষতি করছে, তাদের চিহ্নিত করা হবে। কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেগুলি কার্যকর করার জন্য বলা হয়েছে। সেখানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা, সাংসদ কালীপদ সরেন, জেলা সভাধিপতি চিন্ময়ী মারাণ্ডি, রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক প্রমুখ। জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সংগঠনের সরকারি কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। ঝাড়গ্ৰাম জেলায় এই প্রথম সংগঠনের জেলা সম্মেলন অনুষ্ঠিত হল। মানস ভুঁইয়া এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে সংগঠনের ভুয়ো সদস্যদের চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। জেলায় প্রায় ১৩ হাজার সরকারি কর্মচারী আছেন। সেখানে সংগঠনের জেলা কমিটির সদস্য সংখ্যা মাত্র ৪ হাজার ৩০০জন। সংগঠনের সদস্যদের নাম, ফোন নম্বর সহ ডিজিটাল গ্ৰুপ তৈরির নির্দেশ দেন। সেইসঙ্গে সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, সরকারি অফিসে দলের পতাকা রাখা নিষেধ। বাড়িতে অন্তত সংগঠনের সদস্যরা দলের পতাকা রাখুন। সোচ্চারে প্রকাশ করুন, ‘আমি তৃণমূল করি’, ‘তৃণমূলের ফেডারেশন করি’। জেলার সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের এক সদস্য বলেন, সংগঠনের ভিতরে দল বিরোধী লোকেরা ছড়ি ঘোড়াচ্ছে। উদ্দেশ্যেপ্রণোদিতভাবে তাদের রাখা হয়েছে। সংগঠনের খোলনলচে বদলে ফেলা দরকার। সংগঠনের চেয়ারম্যান এদিন বিষয়টি উত্থাপন করায় স্বস্তি বোধ করছি। পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের আহ্বায়ক প্রতাপ নায়েক বলেন, জেলা সংগঠনের ত্রুটি ও দুর্বলতার বিষয়টি মন্ত্রী তথা সংগঠন চেয়ারম্যান এদিন তুলে ধরেছেন। বিষয়টি দেখার জন্য আমাকে দায়িত্ব দিয়েছেন। গুরুত্ব দিয়ে সবকিছু দেখা হবে। সংগঠনের জেলা কমিটির সভাপতি পীযূষকান্তি রাউত বলেন, ঝাড়গ্রামে প্রথমবার পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারি কর্মচারী ফেডারেশনের জেলা সম্মেলন হল। শহরের প্রাণকেন্দ্র রবীন্দ্র পার্কে প্রকাশ্যে এই সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছে। সংগঠনের চেয়ারম্যান অভিভাবকসুলভভাবেই সংগঠনের ত্রুটি-বিচ্যুতি তুলে ধরেছেন। সদস্য সংখ্যা ও কাজকর্মের গতি বাড়াতে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়া হবে। মন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, সংগঠনের কাজকর্ম দেখার নির্দেশ তিনি আমাকে দিয়েছেন। যথাসাধ্য সেই দায়িত্ব পালন করব।
  • Link to this news (বর্তমান)