• 'দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের লড়াই', রবি-ব্রিগেডে নজর রাজ্যবাসীর
    ২৪ ঘন্টা | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিধানসভায় নেই একজনও বিধায়ক। শাসকদলের বিরুদ্ধে হাতের কাছে একাধিক ইস্যু। এরকম এক পরিস্থিতিতে আগামিকাল রবিবার বিগ্রেডে শক্তি প্রদর্শন করতে চলেছে বামেরা। বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্যুর পর এইবারই প্রথম ব্রিগেড। কৃষকসভা, সিটু, ক্ষেতমজুর সংগঠনের সভা।

    ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর খেকে বিভিন্ন ইস্যুকে রাস্তায় দেখা গিয়েছে বামেদের। সেটা নিয়োগ দুর্নীতি হোক, আরজি কর ইস্যু হোক বা অন্যকিছু। তোলপাড় হয়েছে রাজ্য রাজনীতি। কিন্তু তার পরেও ভোটব্যাঙ্কে তার কোনও প্রতিফলন নেই। কেন? এনিয়ে বহুদিন ধরেই বামেদের মধ্যে কাটাছেঁড়া চলছে বহুদিন, বিস্তর।

    এদিকে, দরজায় কড়া নাড়ছে ২০২৬ সালের বিধানসভা নির্বাচন। বামরো কি পারবে ঘুরে দাঁড়াতে? এই প্রশ্নেই তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের মৃত্য়ুর পর এই প্রথম ব্রিগেড বামেদের। ফলে এই সমাবেশের একটা আলাদা গুরুত্ব রয়েছে। পাশাপাশি এই ব্রিগেডের দিকে বামেদের যেমন নজর থাকবে তেমনি শাসকদলও নজর রাখছে ব্রিগেডের সমাবেশের উপরে।

    ব্রিগেড সমাবেশ উপলক্ষ্যে ইতিমধ্যেই কলকাতায় আসতে শুরু করেছেন বাম কর্মী, সমর্থকরা। উত্তরবঙ্গের অনেক জায়গা থেকে ট্রেনে চেপে রওনা দিয়েছেন অনেকে। শনিবার সন্ধেয় ব্রিগেড সমাবেশের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখলেন সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তিনি বলেছেন, দুর্নীতির বিরুদ্ধে মেহনতি মানুষের লড়াই। অনেকেই চলে এসেছেন। আরও অনেকের চলে আসার কথা। ধর্মতলায়ায় যেটা থাকার ব্যবস্থা ছিল সেটা নেই। রামলীলা ময়দানে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। অনেকের কষ্ট হবে। কাল সকালে বেশিরভাগ মানুষ আসবেন। এটা মেহনতি মানুষের, খেটেখাওয়া মানুষের, প্রান্তিক মানুষের লড়াইয়ের অংশ। তারা আসবেন। লুঠেরাদের বিরুদ্ধে খেটেখাওয়াদের লড়াই। গত ২৫ ফেব্রুয়ারি ডানকুনিতে রাজ্য সম্মেলন শেষ করেছিলাম। সেদিন প্রচুর মানুষের সমাগম হয়েছিল। তার পর খেটে খাওয়া মানুষ এই ব্রিগেড ডেকেছে। আজ বামপন্থীরা ছাড়া আর অন্য কোনও রাজনৈতিক দলের সাহস নেই যে ব্রিগেডে মানুষকে ডাক দেবে আর তারা আসবে। বুথ দখল করতে পারে, মস্তানি করতে পারে কিন্তু একসঙ্গে এত মানুষকে নিয়ে আসতে পারবে না।

  • Link to this news (২৪ ঘন্টা)