যত দিন যাচ্ছে যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। কিন্তু সেই হারে রাস্তা বাড়ছে না। ফলে রাস্তায় যানজট বেড়েই চলেছে। তার হাত থেকে পরিত্রাণ পেতে জলপথকে আরও বেশি করে কাজে লাগাতে চাইছে রাজ্য সরকার। সেজন্য হুগলি নদী জলপথে ফেরি পরিষেবার মানোন্নয়ন ঘটাতে উদ্যোগী রাজ্য পরিবহণ দপ্তর।
তারই অঙ্গ হিসেবে হাওড়া, হুগলি, উত্তর ২৪ পরগনায় মোট পাঁচটি অত্যাধুনিক মানের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরি হবে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, হাওড়া, শিপিং, নাজিরগঞ্জ, চুঁচুড়া এবং পানিহাটিতে এই ধরনের প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল বানানো হবে। এর জন্য খরচ হবে আনুমানিক ২২৮ কোটি টাকা।
রাজ্য পরিবহণ দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রস্তাবিত এই ফেরি প্যাসেঞ্জার টার্মিনালে যাত্রীদের জন্য সব ধরনের আধুনিক সুযোগ–সুবিধা থাকবে। টার্মিনালের মধ্যেই থাকবে ওয়েটিং এরিয়া, টিকিট কাউন্টার, ফুড স্টল, রেস্ট রুম, রিটেল স্টল, লাইফবেল্ট, কার পার্কিং এরিয়া, শৌচাগার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থা। টার্মিনাল থেকে যাতে গঙ্গায় দূষণ না ছড়ায় তার জন্য ওয়েস্ট ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্লান্ট এবং রিসাইক্লিং প্লান্ট থাকবে।
যাত্রীদের সুরক্ষার জন্য ডেকের চারধারে রেলিং দেওয়া থাকবে। মাথার উপরে থাকবে আচ্ছাদন। বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের জন্য এনার্জি এফিসিয়েন্ট লাইট ব্যবহার করা হবে। ঘূর্ণিঝড় কিংবা কালবৈশাখীর কথা মাথায় রেখে টার্মিনালের নকশা তৈরি করা হবে। কোনও প্রাকৃতিক বিপর্যয় কিংবা অগ্নিকাণ্ডের মতো কোনও দুর্ঘটনা ঘটলে যাতে যাত্রীদের দ্রুত টার্মিনাল খালি করা যায় তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা থাকছে। এর জন্য টার্মিনালের বিভিন্ন প্রান্তে একাধিক ইমার্জেন্সি একজিট গেট থাকবে।
টার্মিনাল নির্মাণ করতে গিয়ে গঙ্গার পরিবেশের যাতে কোনও ক্ষতি না হয় তার জন্য বিশেষ সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, হুগলি নদীতে প্রচুর ডলফিন ঘুরে বেড়ায়। নানা কারণে গঙ্গার ডলফিনরা এমনিতেই এখন বিলুপ্তির পথে। তাদের সুরক্ষার কথা মাথায় রেখে টার্মিনাল নির্মাণের সময় সব ধরনের সাবধানতা অবলম্বন করা হবে। ঠিক হয়েছে, যখন নদীতে পিলার বসানো হবে তার অন্তত এক ঘণ্টা আগে আশপাশে কোনও ডলফিন আছে কি না, ভালো করে দেখে নেওয়া হবে।
এ ছাড়াও সিদ্ধান্ত হয়েছে, টার্মিনাল বানানোর জন্য গঙ্গার পাশে কোনও গাছে হাত দেওয়া হবে না। গঙ্গার পাড়ে সবুজ অক্ষত রেখেই টার্মিনাল তৈরি করতে হবে ঠিকাদার সংস্থাকে। যেমন, হাওড়ায় ফেরি ঘাটের পাশে অনেক পুরোনো গাছ রয়েছে। সেগুলোকে বাদ দিয়েই প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরি হবে। মেট্রো রেলের কাজের যেমন ময়দানের গাছ কাটা পড়েছে, এখানে সেটা হবে না। শিপিং, নাজিরগঞ্জ, চুঁচুড়া এবং পানিহাটির ক্ষেত্রেও একই নিয়ম মেনে চলা হবে।
এর মধ্যে হাওড়ায় ৬৫৫০ বর্গমিটার, নাজিরগঞ্জে ৭৪৭ বর্গমিটার, পানিহাটিতে ১৬৪৩ বর্গমিটার, চুঁচুড়ায় ১৫৫১ বর্গমিটার এবং শিপিং ফেরিঘাটে ২৩৫২ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরি হবে।
সরকারি সূত্রে খবর, পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হবে বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকায়। প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং আশপাশের শহরতলি এলাকায় হুগলি নদীর পাশে মোট ২৯টি জেটি পয়েন্টের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ১৬টি নতুন জেটি তৈরি করা হয়েছে।
এর মধ্যে হাওড়ায় ৬৫৫০ বর্গমিটার, নাজিরগঞ্জে ৭৪৭ বর্গমিটার, পানিহাটিতে ১৬৪৩ বর্গমিটার, চুঁচুড়ায় ১৫৫১ বর্গমিটার এবং শিপিং ফেরিঘাটে ২৩৫২ বর্গমিটার এলাকা জুড়ে প্যাসেঞ্জার টার্মিনাল তৈরি হবে।
সরকারি সূত্রে খবর, পুরো প্রকল্পটি রূপায়িত হবে বিশ্বব্যাঙ্কের ঋণের টাকায়। প্রকল্প রূপায়ণের দায়িত্বে রয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ট্রান্সপোর্ট ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড। এই প্রকল্পে ইতিমধ্যেই কলকাতা এবং আশপাশের শহরতলি এলাকায় হুগলি নদীর পাশে মোট ২৯টি জেটি পয়েন্টের সংস্কারের কাজ শুরু হয়েছে। মোট ১৬টি নতুন জেটি তৈরি করা হয়েছে।