এই সময়: খোলাবাজারে ভেজাল ওষুধের রমরমা ব্যবসায় উদ্বিগ্ন নবান্ন। শনিবার নবান্নে রাজ্যের ১২টি দপ্তর–সচিব ও জেলাশাাসকদের বৈঠকে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ। তিনি স্বাস্থ্য দপ্তর ও জেলাশাসকদের বলেন, ‘ড্রাগ কন্ট্রোলের নিয়ম মেনে যে সব জাল ওষুধ চিহ্নিত করা হয়েছে, সেগুলি এখনও খোলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে বলে একাধিক অভিযোগ রাজ্য সরকারের কাছে এসেছে। এই জাল ওষুধ উৎপাদনও বন্ধ করা যায়নি। ভিন রাজ্য থেকে চোরাপথে তা রাজ্যে ঢুকছে। যা সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যের পক্ষে বিপদজ্জনক। যে কোনও ভাবে এই জাল ওষুধ বিক্রি বন্ধ করতে হবে।’
এ জন্য জেলা প্রশাসনকে নিয়মিত নজরদারি চালানোর নির্দেশ দেন তিনি। এই ধরনের ওষুধ বিক্রি হচ্ছে দেখলেই তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ দিন তিনি বলেন, ‘কোনও ভাবে ছাড় দেওয়া যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীও এ ব্যাপারে প্রশাসনকে কড়া মনোভাব গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।’
প্রসঙ্গত, গত ১১ এপ্রিল বিকেলে উল্টোডাঙার মুচিবাজার এলাকার দুই সংস্থার গোডাউনে তল্লাশি চালান রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোলের অফিসাররা। প্রাথমিক তদন্তে জাল ওষুধ বিক্রির প্রমাণ উঠে আসায় দুই হোলসেলার সংস্থার গোডাউন সিল করে রাজ্য।
এ দিনের বৈঠকে স্বাস্থ্য, বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর, বিদ্যুৎ দপ্তর, জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দপ্তর, স্বরাষ্ট্র দপ্তর, সেচ, ভূমি ও ভূমি রাজস্ব, কৃষি, শিল্প, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প, পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন এবং নগরোন্নয়ন দপ্তরের সচিব ও আধিকারিক এবং জেলাশাসক, অতিরিক্ত জেলাশাসকরা উপস্থিত ছিলেন।
মুখ্যসচিব বৈঠকে জেলাগুলিতে ডেঙ্গি ও প্রসূতি মায়ের মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণের নির্দেশ দেন। তিনি বলেন, ‘কোভিড কালে ২০ শয্যার হাসপাতালগুলি তৈরি করা হয়েছিল। সেগুলি নিয়মিত ব্যবহার করুন। তা হাসপাতালের স্টোররুম হতে দেবেন না।’ পাশাপাশি, সুসংহত শিশু বিকাশ প্রকল্পে খোলা আকাশের নীচে যেন খাবার রান্না করা না হয়, সে জন্য শেডের ব্যবস্থা করার জন্যও জেলাশাসকদের নির্দেশ দেন তিনি।