তৃণমূল কর্মীদের উপর বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হামলার অভিযোগে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে সন্দেশখালি। অভিযোগ, তৃণমূল কর্মীদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় বিজেপির মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীরা, চলে গুলিও। এই ঘটনায় কমপক্ষে আট জন জখম হয়েছেন বলে অভিযোগ। এঁদের মধ্যে চারজনের আঘাত গুরুতর বলে জানা গিয়েছে। এঁদের চিকিতসা চলছে খুলনা গ্রামীণ হাসপাতালে।
এদিকে বিজেপির পাল্টা দাবি, তৃণমূল তাঁদের কর্মীদের উপর প্রাণঘাতী হামলা চালায়। তাতে কয়েকজন জখম হন। এই দাবি আর পাল্টা দাবিকে ঘিরে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে জেলিয়াখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের পাখিরালয় এলাকা। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের পাখিরালয় এলাকায় শাসকদলের কয়েকজন কর্মী বসে কথাবার্তা বলছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় হঠাতই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত একজন দুষ্কৃতী। দুষ্কৃতীদের থেকে সংখ্যায় তৃণমূল কর্মীরা কম হওয়ায় প্রতিরোধ করার কোনও সুযোগই তাঁরা পাননি বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলাকারীরা এলোপাথাড়ি তৃণমূল কর্মীদের উপর আক্রমণ চালান। প্রাণ বাঁচাতে রক্তাক্ত অবস্থায় তৃণমূল কর্মীরা সেখান থেকে পালানোর চেষ্টা করলে তাঁদের লক্ষ্য করে ছরড়া গুলি চালানো হয় বলেও অভিযোগ। সশস্ত্র হামলায় কারোর মাথায় কোপ লাগে, কেউ কেউ হাতে পায়ে আঘাত পেয়ে জখম হন।
আক্রান্ত তৃণমূল কর্মীদের দাবি, দা, শাবল, বন্দুক নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তাঁদের উপর আক্রমণ চালানো হয়। অভিযোগ, ইয়াকুব বৈদ্যর নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা তাঁদের উপর হামলা চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয়। আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠানো হয়।
এলাকায় উত্তেজনা থাকায় এলাকায় পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে। তৃণমূলের সন্দেশখালি ২ নম্বর ব্লকের সভাপতি দিলীপ মল্লিক বলেন, বিজেপি চক্রান্ত করে সমস্ত জায়গায় অশান্তি পাকাতে চাইছে। গুলিও চলেছে।
তৃণমূলের বিরুদ্ধে পাল্টা হামলার অভিযোগ করেছে গেরুয়া শিবির। বিজেপির বসিরহাট জেলার সাংগঠনিক সভাপতি সুকল্যাণ বৈদ্য বলেন, ‘ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে সন্দেশখালিতে মিছিল করছিল তৃণমূল। সেই মিছিলে আমাদের কর্মীদের জোর করে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা হয়। তার জেরেই গণ্ডগোলের সূত্রপাত। তৃণমূলের কর্মীরাই আমাদের কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে।’