• তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে বাড়ি দখলের অভিযোগ, ‘অসামাজিক কাজকর্ম হতো’, উঠল পাল্টা দাবি
    এই সময় | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • বাড়ি দখল করে নিয়েছে তৃণমৃল নেতা, এমনই অভিযোগ তুলে পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হলেন ইংরেজবাজার ব্লকের বাগবাড়ির বাসিন্দা উপেন মণ্ডল। তাঁর দাবি, প্রায় ২ বছর ধরে ঘরছাড়া তিনি। নিজের বাড়ি থাকতেও ভাড়া বাড়িতে দিন কাটাতে হচ্ছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্য জয়ন্ত সরকার। তিনি বলেছেন, ‘সম্পূর্ণ মিথ্যা অভিযোগ। কারও বাড়ি দখল করিনি। ওই বাড়িতে অসামাজিক কাজকর্ম হতো।’

    গত ৪০ বছর ধরে বাগবাড়ি এলাকার বাসিন্দা উপেন। বছর দুয়েক আগে তাঁর ছোট মেয়ের বিয়ে হয়। মেয়ে নিজের ইচ্ছাতেই বিয়ে করেছিলেন। তাঁরা মেনেও নিয়েছিলেন। কিন্তু অভিযোগ, পাড়া, প্রতিবেশীরা সেই বিয়ে মানতে পারেননি। উপেনের অভিযোগ, এই বিষয়কে হাতিয়ার করেই তৃণমূল পরিচালিত কাজিগ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য জয়ন্ত সরকার প্রতিবেশীদের সঙ্গে নিয়ে বাড়ি দখলের ষড়যন্ত্র করেন। এই নিয়ে ইংলিশবাজার থানায় লিখিত অভিযোগও দায়ের করা হয়। কিন্তু উপেনবাবুর দাবি, তাতেও কোনও সুরাহা হয়নি।

    উপেনের স্ত্রী শেফালি মণ্ডল বলেন, ‘আমাদের কোনও দোষ নেই। তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সরকার গ্রামবাসীদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করে আমাদের বাড়িছাড়া করেছে। থানাতেও কোনও সুবিচার পাইনি। তাই জেলা পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছি।’

    যদিও এই অভিযোগ মানতে রাজি নন তৃণমূল নেতা জয়ন্ত সরকার। তাঁর দাবি, ‘আমি কোনও বাড়ি দখল করিনি। ওই বাড়িতে অসামাজিক কার্যকলাপ চলত। গ্রামবাসীরাই তার প্রতিবাদ করে। জনপ্রতিনিধি হিসেবে আমাকে গ্রামবাসীদের পাশেই থাকতে হয়। গ্রামের বাসিন্দারাই তাদেরকে এলাকায় ঢুকতে দিচ্ছে না।’

    এই ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানিয়েছেন মালদা বিজেপির সভাপতি অজয় গঙ্গোপাধ্যায়। তার কথায়, ‘গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়েই এই কালচার চলছে। তৃণমূল নেতারাই এখন আইন।’ তবে মালদা জেলা তৃণমূলের মুখপাত্র আশিস মণ্ডল বলছেন, 'এ সব বিজেপি শাসিত রাজ্যে হয়। বাংলায় একসময় হার্মাদ সিপিএম করত। তৃণমূলের কেউ এর সঙ্গে জড়িত নয়। পুলিশ তদন্ত করছে। দোষী প্রমাণিত হল শাস্তি হবে।'

  • Link to this news (এই সময়)