রনি চৌধুরী, ধূপগুড়ি
৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত যোগ্য শিক্ষকদের স্কুলে যাওয়ায় ছাড়পত্র দিয়েছে দেশের সর্বোচ্চ আদালত। তবে সেই নির্দেশের পরও যে চাকরিহারাদের মনে অনিশ্চয়তা কাটেনি, তার প্রমাণ মিলল শনিবার ধূপগুড়িতে। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ধূপগুড়ি হাইস্কুলের চার শিক্ষকের চাকরি গিয়েছে। এ ছাড়া দু'জন শিক্ষাকর্মীও চাকরি খুইয়েছেন। তাঁদের স্কুলে আসার প্রশ্ন না থাকলেও শিক্ষকরা স্কুলে আসেন কি না, তা নিয়ে কৌতূহল ছিল। কিন্তু এ দিন দেখা গেল, ধূপগুড়ি হাইস্কুলে চাকরিহারা চার শিক্ষকের মধ্যে এসেছেন মাত্র একজন। তিনি দেবপ্রিয় সাহ, বিজ্ঞানের শিক্ষক।
তবে দেবপ্রিয় স্কুলে এলেও হাজিরা খাতায় সই করেননি। সহকর্মীদের সঙ্গে গল্পগুজব করে চলে গিয়েছেন। আদৌ চার শিক্ষক স্কুলে যোগ দেবেন কি না, ক্লাস নেবেন কি না তা নিয়ে অন্ধকারে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ফলে স্কুলে স্বাভাবিক পঠনপাঠন চালু রাখতে পড়েছেন তাঁরা।
ধূপগুড়ি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক গুণময় বন্দ্যেপাধ্যায় বলেন, 'সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে একজন শিক্ষক এসেছিলেন। তবে খাতায় সই করেননি তিনি। স্কুলে সময় কাটিয়ে চলে গিয়েছেন। বাকিরা আসেননি, কেন আসেননি কী ব্যাপার সেটা আমাদের জানা নেই। ডিআই-এর তরফেও কোনও নির্দেশিকা আমরা এখনও পাইনি। যার কারণে শিক্ষকদের বেতন সংক্রান্ত কাজকর্ম সম্পন্ন হয়নি। পোর্টালে স্যালারি ডিটেইলস আপলোড করা হয়নি। আমরা শিক্ষা দপ্তরের নির্দেশের অপেক্ষায় রয়েছি।'
এ দিকে ধূপগুড়ির বিদ্যাশ্রম দিব্যজ্যোতি বিদ্যানিকেতন হাইস্কুলেও চাকরিহারা শিক্ষকদের মধ্যে একজনও এদিন স্কুলে আসেননি। এই স্কুলের শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মী মিলে ১২ জনের চাকরি গিয়েছে। বানারহাট হাইস্কুলেও চাকরিহারা ১১ শিক্ষকের মধ্যে মাত্র একজন কাজে এসেছিলেন। তবে তিনিও হাজিরা খাতাই সই করেননি।