• প্রীতিভোজের আসরে পুলিশ পৌঁছতেই বেপাত্তা বরের বাড়ির লোকজন, কনে গেল 'হোম'-এ, কারণ কী?...
    আজকাল | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • আজকাল ওয়েবডেস্ক: আত্মীয়-পরিজন সমাগমে বিয়ের অনুষ্ঠান। ধুমধাম, সাজসজ্জা। তবে হল না শেষরক্ষা।  আচমকা বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির পুলিশ। গ্রেপ্তার কনের বাবা-মা।

     কিন্তু কারণ কি ? জানা গিয়েছে, শনিবার, ১৯ এপ্রিল পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং ব্লকের অন্তর্গত ১৩ নম্বর বিষ্ণুপুর অঞ্চলের মাধবচক গ্রামের বাসিন্দা মধুসূদন বর্মনের মেয়ের বিবাহ বাসর বসেছিল। মেয়ে দশম শ্রেণির ছাত্রী। যার সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছিল নাবালিকা, তার বয়স ১৮।  

    গপনে মন্দিরে বিয়ে সম্পন্ন করার পর, প্রীতিভোজের আয়োজন হয়েছিল ধুমধাম করে।  গোপন সূত্রে খবর পেয়ে, সবং থানার পুলিশ গিয়ে প্রীতিভোজের অনুষ্ঠান থামায়। কারণ ? পাত্র নাবালক ও পাত্রী নাবালিকা। বিয়ের আসর থেকে নাবালিকা উদ্ধার করে পুলিশ। 

    সবং থানার পুলিশ ব্লক সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিক শিশু উন্নয়ন প্রকল্প কর্মকর্তা ও অফিসের কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে ওই নাবালিকার বিয়ের প্রীতিভোজ আসরে পৌঁছন। রাতে ওই মেয়েটিকে হোমে পাঠানো হয়। এদিকে পাত্রীর মা এবং বাবাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ধৃতদের নাম মধুসূদন বর্মন ও পদ্মাবতী বর্মন। ধৃতদের রবিবার মেদিনীপুর জেলা আদালতে তোলা হবে বলে জানা গিয়েছে।

    স্থানীয় সূত্রের খবর, পুলিশ পৌঁছানোর খবর পেয়ে অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে চম্পট দেয় ছেলের পরিবারের সদস্য-সহ আত্মীয়রা। অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি চালানো হচ্ছে। 

    প্রসঙ্গত, পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন হাসপাতালে ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৪ সালের মার্চ পর্যন্ত ভর্তি হয়েছিলেন ৬৪,৯৯৮ জন অন্তঃসত্ত্বা। প্রশাসনের সূত্রে খবর, প্রায় ৬৫ হাজারের মধ্যে নাবালিকা ১১,৫৬১ জন। ১,১৩০ জনের বয়স পনেরোর কম। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি ১০,৪৩১ জন। ২০২৪ সালের এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ৫৭,৪০১ জন অন্তঃসত্ত্বা। এর মধ্যে নাবালিকা ৯,১৩৯ জন। অনূর্ধ্ব- ১৫ ২০৩ জন। ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সি ৮,৯৩৬ জন।
  • Link to this news (আজকাল)