সূর্যের হাসি এখন বাঁকুড়ার লাল মাটিতে, সূর্যমুখী চাষে কৃষিতে নতুন জোয়ার...
আজকাল | ২০ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: শুধু পাহাড় আর লাল মাটির জেলা বললে বাঁকুড়াকে ছোট করে দেখা হবে। এই মাটির বুকে এখন ফুটছে নতুন সম্ভাবনার ফুল—সূর্যমুখী। শুশুনিয়া পাহাড়ের ঢাল থেকে খাতড়ার প্রান্ত পর্যন্ত, একের পর এক মাঠ জুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে এই উজ্জ্বল হলুদ ফুলের হাসি। চাষের জমিতে সেই দৃশ্য যেন শিল্পীর তুলিতে আঁকা ছবি।
সূর্যমুখী ফুলের চাষে ঝুঁকছেন জেলার বহু কৃষক। কারণটা স্পষ্ট, এটি শুধু চোখ জুড়ানো নয়, পকেট ভরানোরও উপায়। সূর্যমুখীর বীজ থেকে তৈরি হয় উচ্চমানের খাওয়ার তেল, যা বিশেষ করে হৃদরোগীদের জন্য উপকারী। ফলে বাজারে এর চাহিদাও বেশ ভালো। তাছাড়া খাদ্যশস্য হিসেবেও এর ব্যবহার রয়েছে।
এই চাষে বিশেষ খরচ বা পরিশ্রমের প্রয়োজন হয় না, তবে মাটি প্রস্তুতিতে একটু যত্ন দরকার। জমি ভালোভাবে চাষ করে আগাছামুক্ত করতে হয়, সারিতে বপন করতে হয় বীজ। প্রতি হেক্টরে লাগে ৮-১০ কেজি বীজ। চাষের আদর্শ সময় হল ভাদ্র-আশ্বিন এবং খরিফ-১ মৌসুমে জৈষ্ঠ্য মাসও উপযুক্ত। ডি এস-১ ও বারি সূর্যমুখী-২ জাত বর্তমানে চাষিদের কাছে জনপ্রিয়।
কৃষি দপ্তর জানাচ্ছে, বাঁকুড়ার আবহাওয়া এবং মাটির ধরন সূর্যমুখীর জন্য আদর্শ। এই ফসলের মাধ্যমে কৃষকদের আয় যেমন বাড়বে, তেমনি জেলার কৃষি অর্থনীতিতেও আসবে ইতিবাচক পরিবর্তন।
গোটা শীতকাল জুড়ে যেখানে জারবেরা ফুলে রঙিন হয় বাঁকুড়ার নানা জায়গা, সেখানে গ্রীষ্মে সূর্যমুখী এনে দিতে পারে এক নতুন আশার আলো। এই ফুল শুধু মাঠ নয়, কৃষকের মনেও রঙ তুলছে।