• নাশকতার ছক নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য? কোচবিহারে গ্রেপ্তার বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী
    প্রতিদিন | ২০ এপ্রিল ২০২৫
  • বিক্রম রায়, কোচবিহার: ফের বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার হল কোচবিহারে। সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে ওই যুবক এদেশে চলে এসেছিল বলে খবর। ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে ওই এলাকায়। কী কারণে সে কোচবিহারে ঢুকেছিল? নাশকতা নাকি অন্য কোনও উদ্দেশ্য সেই প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কোচবিহারের শীতলকুচির গাছতলা এলাকায় জমিতে চাষ করার সময় উকিল বর্মন নামে এক ভারতীয় কৃষককে অপহরণ করেছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। এখন ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে বন্দি রয়েছেন। বিএসএফ-বিজিবি ফ্ল্যাগ বৈঠকের পরেও তাঁকে ছাড়েনি বাংলাদেশ। সেই বিষয়ে ক্রমশ ক্ষোভ বাড়ছে কোচবিহারে। তার মধ্যেই এই অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার ।

    পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কোচবিহারের শালমারা বাজারে এক অপরিচিত যুবককে ইতস্তত ঘুরতে দেখা গিয়েছিল। তাঁকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হয়। তাঁরাই পুলিশকে খবর দেয়। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ সেখানে গিয়ে তাকে ধরে জিজ্ঞাসাবাস শুরু করে। জানা যায়, ওই যুবক সীমান্ত এলাকা পেরিয়ে কোচবিহারে এসেছিল। তার বাড়ি সাহিন আলি, বাড়ি বাংলাদেশের পাগলাবাড়ি গ্রামে। তার থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। দিঘলটারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার নেই। ঘুরতে ঘুরতে সে না বুঝে ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসে। এমনই দাবি করেছে সে। যদিও রাতে কেন সে সীমান্ত এলাকায় ঘুরছিল? সেই প্রশ্ন উঠেছে। আরও জেরার জন্য পুলিশ ওই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।

    কী কারণে সে কোচবিহারে ঢুকেছিল? সেই প্রশ্ন উঠছে। দিন কয়েক আগেই শীতলকুচির বাসিন্দা পেশায় কৃষক উকিল বর্মনকে অপহরণ করেছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। বিএসএফের তরফে ফ্ল্যাগ মিটিং করে তাঁকে ফিরিয়ে আনার দাবি করা হচ্ছে। কিন্তু তারপরেও ছাড়া হয়নি। বাংলাদেশে তিনি গ্রেপ্তার হয়ে আছেন বলে খবর। সেই অবস্থায় নতুন করে কোচবিহারে অনুপ্রবেশকারী ঢোকার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এই যুবক কি দুষ্কৃতী কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত? নাকি এলাকায় এসে কোনও খোঁজখবর করার পরিকল্পনা ছিল তার? গোটা বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।
  • Link to this news (প্রতিদিন)