দিশা ইসলাম, সল্টলেক: এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্প চাই। হিংসা জর্জরিত মুর্শিদাবাদ, মালদহর বাসিন্দাদের একটাই দাবি। সরেজমিনে এলাকা পরিদর্শনের পর সেকথা জানায় জাতীয় মহিলা কমিশন। কেন্দ্রকে পাঠানো রিপোর্টে সেকথা উল্লেখ করা হবে বলেই জানান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার।
রবিবার নিউটাউনের একটি পাঁচতারা হোটেলে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বলেন, “গত ২দিন ধরে বাংলায় আছি। মালদহ, মুর্শিদাবাদে গিয়েছি। এখানকার হিংসার ঘটনায় অনেকে আক্রান্ত হয়েছে। সেখানকার পরিস্থিতি খুবই কঠিন। মহিলা, শিশুদের সঙ্গে কথা বলেছি। আমি সেখানকার কঠিন পরিস্থিতির কথা ভুলতে পারছি না। কারও কারও বাড়িতে লুটপাট করা হয়েছে। ভয় দেখানো হয়েছে। মুর্শিদাবাদের মহিলাদের মনোবল ভেঙে গিয়েছে। ওরা ভীত সন্ত্রস্ত। ওদের মনোবল বাড়ানোর কাজ করতে হবে।” কেন্দ্রর কাছে রিপোর্ট পাঠানো হবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি তৈরি হয় মুর্শিদাবাদে। একাধিক বাড়িতে আগুন জ্বালিয়ে দেওয়া হয়। ভাঙচুর করা হয়। এই আবহে প্রাণ হারান বাবা, ছেলে-সহ মোট তিনজন। আতঙ্কে ঘরছাড়াও হয়ে যান অনেকেই। যদিও পরিস্থিতি সামাল দিতে রাজ্য সরকারের তরফে একটি সিট গঠন করা হয়। ওই সিটের নেতৃত্বে এলাকায় শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত জাফরাবাদে বাবা-ছেলে খুনে চারজনকে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। ঘরছাড়াদের বাড়িতে ফেরানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে গত শুক্র ও শনিবার মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে যান রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। ঘরছাড়াদের সঙ্গে দেখা করেন জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরাও। ক্ষতিগ্রস্তরা জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়েন। এলাকায় বিএসএফ ক্যাম্পের দাবিও জানান তাঁরা। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে সেকথা জানান জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার।