কৃষক, ক্ষেতমজুর, শ্রমিক ও বসতি-এই চারটি সংগঠনের ডাকে আজ বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ। ৭ প্রান্ত থেকে আসা মিছিল মিলবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে। ছাব্বিশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই সমাবেশ থেকে কী বার্তা দেবেন মহম্মদ সেলিম, নিরাপদ সর্দাররা? প্রতি মুহূর্তের আপডেট সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল-এর LIVE UPDATE-এ।
বিকেল ৪.৪৫: হিন্দু-মুসলিমের আবেগ নিয়ে খেলা নয়। খেলতে হলে বেকারির বিরুদ্ধে খেলো। ছাব্বিশের লড়াইয়ের শুরু এখান থেকেই হোক: সেলিম।
বিকেল ৪.৪০: সেলিম বললেন, “ওরা ট্রেন বেচে দিচ্ছে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ট্রাম বেচে দিচ্ছে। মোদির সবকা বিকাশ এখন সবকা সর্বনাশ। আদানি-আম্বানির কাছে সব বেচে দিচ্ছে। আর আমার বেশি দামে চাল খাচ্ছি। চ্যালেঞ্জ করে বলছি, এই তৃণমূল সরকারের সর্বত্র দুর্নীতি।”
বিকেল ৪.৩৮: এই লড়াই লড়তে হবে। তবে এই লড়াই মন্দির আর মসজিদের লড়াই নয়। এই লড়াই শিক্ষার: সেলিম
বিকেল ৪.৩৭: “আমাদের সবাইকে এবার নেমে খেলতে হবে, যাতে এই দুর্নীতিবাজকে টেনে ১৪ তলা থেকে নিচে নামাতে পারি”, বাম সরকার গড়ার লক্ষ্যে কর্মীদের বার্তা সেলিমের।
বিকেল ৪.৩০: স্লোগান উঠেছিল, লাল হঠাৎ দেশ বাঁচাও, লাল হঠেছে কিন্তু দেশ বাঁচেনি, তাই এবার আবার লালকে ফেরাতে হবে: সেলিম।
বিকেল ৪.২৮: যারা আমাদের ঘরছাড়া করছে, তাঁদের রাজ্যছাড়া করবই: মহম্মদ সেলিম।
বিকেল ৪.২৫: আজ থেকেই লড়াই শুরু: মহম্মদ সেলিম।
বিকেল ৪.২৩: “কোনও ইলেক্টোরাল বন্ড, চিটফান্ডের টাকায় লাল ঝাণ্ডা তৈরি হয়নি। এভাবে লাল ঝাণ্ডা শেষ করা যায় না।” শুভেন্দুকেও একহাত নিলেন সেলিম।
বিকেল ৪.২২: মহম্মদ সেলিম বললেন, “খেটে খাওয়া মানুষের পরিশ্রমের জায়গা কমছে। মোদি-মমতা কাজের জায়গা কমিয়ে দিচ্ছে। কল কারখানা হচ্ছে না। শিক্ষকের নিয়োগে দুর্নীতির পাহাড়। ছাব্বিশ হাজারের চাকরি গিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর ভূমিকা কী? অনেকে প্রশ্ন তুলেছে, এপ্রিলের গরমে ব্রিগেড ভরবে? আমরা দেখেছি আর জি করে ধর্ষণ-খুন হল, আগস্টে হাজার হাজার মানুষ পথে নামল। তাহলে আজ কেন হবে না?”
বিকেল ৪.১৪: ‘ব্যাট ও নেব, বলও করব, ছাব্বিশে আমরা দেখিয়ে দেব’, বন্যা টুডুর গলায়ও খেলার ডাক।
বিকেল ৪.১০: ১০০ দিন নয়, চাই দু’শো দিন কাজ, দিল্লি গিয়ে প্রধানমন্ত্রী মোদির সঙ্গে কথা বলবেন বলেই মঞ্চ থেকে ঘোষণা বন্যা টুডুর।
বিকেল ৪.০৬: মঞ্চে উঠেই খেতমজুর সংগঠনের নেত্রী বন্যা টুডু বললেন, “আমরা ভালো নেই। চোর আর ডাকাতের সরকার চলছে। জমি কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। শহরের মানুষ আমাদের গ্রামের মানুষের কথা জানে না। আমাদের স্বার্থেই ১০০ দিনের কথা বলেছিল বাম সরকার। সেই সময় জমি দেওয়া হয়েছিল। জমি এখন লুঠ করে নেওয়া হচ্ছে। সকলে বলছে ব্রিগেডে লোক হয়, ব্রিগেডে কেন হয় না? ব্রিগেড আর ব্যালট এক নয়।
বিকেল ৪.০৪: ব্রিগেডে সুখরঞ্জন দের মুখে শোনা গেল স্বাস্থ্যসাথী প্রসঙ্গ। এই প্রকল্পেও স্বজনপোষণের অভিযোগ করতেন তিন।
দুপুর ৩.৫৪: বসতি উন্নয়ন সমিতির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক সুখরঞ্জন দে বলেন, “বসতি উচ্ছেদ নয়। বসতিবাসীদের পাট্টা বিলি করতে হবে রাজ্য সরকারকে।” তাঁর হুঁশিয়ারি, “আমরা এই লড়াইয়ের শেষ দেখতে চাই।”
দুপুর ৩.৫২: প্রত্যেকে যেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডার পায়, তাঁর জন্য লড়াই জারি থাকবে: নিরাপদ।
দুপুর ৩.৫১: “বিজেপি একশো দিনের টাকা দিচ্ছে বা তৃণমূল দুর্নীতি করেছে বলে। কিন্তু দাঙ্গা বাঁধাচ্ছে”, বললেন নিরাপদ।
দুপুর ৩.৫০: “এটা মেহনতি মানুষের ব্রিগেড। এই জমায়েত মুখ্যমন্ত্রীকে ঘুমতে দেবে না। আমরা যখন ক্ষমতায় এলাম, জরাজীর্ণ রাজ্য ছিল। আজ কটা স্কুল গুণতে পারবেন? কেন এত স্কুল? আমরা আসলে বুঝেছিলাম, নিজের পেটের ভাত নিজেকেই করতে হবে। কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি আপনাদের পথে নামতে হবে”, বললেন ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার।
দুপুর ৩.৪৯: সমাবেশের মাঝেই জাফরাবাদে মৃতদের পরিবারের জন্য কর্মী-সমর্থকদের কাছে আর্থিক সাহায্য প্রার্থনা।
দুপুর ৩.৩৯: ‘ব্রিগেড থেকে ফিরে বিশ্রাম নয়, বাংলার মানুষকে বোঝাতে হবে আমরা পারি’, রাস্তায় নামার ডাক দিলেন অমল হালদার।
দুপুর ৩.৩০: “আমাদের সময়ে আদিবাসীদের হস্টেল ছিল, পড়ার ব্যবস্থা ছিল। এখন যোগ্য শিক্ষকরা কাঁদছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অযোগ্য শিক্ষকদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে। গ্রামে গ্রামে মদের দোকান খুলছে। আপনার ছেলের পড়াশোনা হবে না। যারা ভাবনাচিন্তা করেন তাঁদের উদ্দেশ্যে বলছি, ধান উৎপাদনে একটা সময়ে বাংলা ছিল প্রথম। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের আমলে কমতে কমতে এখন বাংলা চারনম্বরে”, অমল হালদার।
দুপুর ৩.২৮: কৃষকসভার অমল হালদার বললেন, আজ পশ্চিমবঙ্গ মারাত্মক সংকটে। ধানের দাম নেই., আলুচাষি ভবিষ্যৎ জানেন না। সবজি চাষির মাথায় হাত। পশ্চিমবঙ্গে কৃষকদের আয় তিনগুণ বেড়েছে বলেন আমাদের মুখ্যমন্ত্রী। উনি মিথ্যা কথা বলছেন। দিনে দিনে দেনা বাড়ছে। বাংলায় ফসলের দাম নেই। বীজের দাম বাড়ছে।
দুপুর ৩. ২৩: “যারা দুর্নীতি করেছএ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও ব্যবস্থা করছে না কেন্দ্রে। গরিব মানুষকে কাজ দিতে হবে। চা বাগান, চট কল শ্রমিকদের সমস্যার সমাধান করতে হবে”, বললেন সিটু নেতা।
দুপুর ৩.২২: শ্রমকরের বিরুদ্ধে ২০ মে দেশজুড়ে ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে সিটু। ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে আরও একবার সেকথা মনে করিয়ে দিলেন অনাদি সাহু।
দুপুর ৩.০৫: বক্তব্য শুরু করলেন সিটু নেতা অনাদি সাহু। বললেন, “দেশে গভীর সংকট। কেন্দ্রে মোদি সরকার। এই সরকার আমাদের দেশের পুঁজিপতি বণিকশ্রেণির। আমাদের দেশের শ্রমজীবী মানুষের উপর আক্রমণ এনেছে। জাতীয় স্বার্থবিরোধী অর্থনৈতিকনীতি এনেছেন। আমাদের দেশের মেহনতি মানুষের জীবনে অন্ধকার নেমে এসেছে। জীবন দুর্বিষহ। আকাশছোঁয়া মূল্যবৃদ্ধি, বেকারি-দেশের মানুষের জীবন-জীবিকা অসহনীয় হয়ে উঠেছে। আমাদের বাঁচার, শিক্ষার অধিকার, সব অধিকার ওরা কেড়ে নিতে চাইছে। আমাদের দেশের যা কিছু, জাতীয় সম্পদ। আমাদের জনগণের অর্থে যে সম্পদ তৈরি করেছি, তা আজকে আদানি-আম্বানির হাতে তুলে দিচ্ছে মোদি সরকার। মানুষের জনজীবন বিপর্যস্ত হচ্ছে। মেরুকরণের রাজনীতি হচ্ছে। সাম্প্রদায়িক বিভাজনকারী বিজেপি, আরএসএস আর এদিকে তৃণমূল মিলে বাংলায় দাঙ্গার পরিবেশ তৈরি করছে। আমাদের বিচার ব্যবস্থা, নির্বাচন কমিশন, ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্রীয় কাঠামো আরএসএস বিজেপি চক্রান্ত করে ভেঙে ফেলছে, স্বৈরাতন্ত্র মাথা তুলছে।” চাকরি বাতিল নিয়ে তৃণমূল সরকারকে নিশানা করলেন অনাদি।
দুপুর ২.৫৫: কারও মাথায় টুপি, কেউ আবার মাথায় গামছা দিয়ে ব্রিগেডে বাম কর্মী-সমর্থকরা। কিছুক্ষণের মধ্যেই শুরু হবে মূল অনুষ্ঠান।
দুপুর ২.৫০: ব্রিগেডের পথে আমতার মৃত ছাত্রনেতা আনিস খানের বাবা ও দাদা।
দুপুর ২.২০: “ওয়াকফ নিয়ে দাঙ্গা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যের। বাংলার মানুষকে যেন এই দিন আর দেখতে না হয়”, বললেন শতরূপ ঘোষ।
দুপুর ২.১৫: বামেদের ভোট রামে যাচ্ছে? প্রশ্নের জবাবে সুজন চক্রবর্তী বললেন, “আরএসএসের ষড়যন্ত্র। ওরা চায় তৃণমূলের বিরুদ্ধের ভোট যেন বিজেপিতে যায়। আর বিজেপির বিরুদ্ধের ভোট যেন তৃণমূলে যায়। তবে মানুষের কথা বলবে ব্রিগেড।”
দুপুর ১.৪০: ‘ভিড়ের প্রতিফলন ব্যালটে হবে’, বিশ্বাস মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের।
দুপুর ২.৩৪: ব্রিগেড সমাবেশে যোগ দিলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে বার্তা দিলেন। তাঁর কথায়, ”এখন তো তৃণমূল-বিজেপির বাইনারি চলছে। সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি চলছে। মানুষজন এসব চায় না। মালদহ, মুর্শিদাবাদের মানুষ দাঙ্গা চায় না। এই ব্রিগেডে যাঁরা এসেছেন, তাঁরা আজ সকলের বক্তব্য শুনবেন, নিজেদের এলাকায় গিয়ে প্রচার করবেন আমাদের কথা।”
দুপুর ২.৩০: বামেদের ব্রিগেড সমাবেশের সাফল্য কামনা কংগ্রেসের প্রাক্তন সাংসদ অধীররঞ্জন চৌধুরীর। জানালেন, ”ব্রিগেড সমাবেশ খুব সফল হোক। বামপন্থীরা কোনও দিন সাম্প্রদায়িকতার রাজনীতি করেনি, যা আমরা এখন দেখছি। তাই চাই, ওদের ব্রিগেড সব দিক থেকে সফল হোক।”
দুপুর ১.৩৬: হাওড়া থেকে মিছিল নিয়ে কলকাতার পথে বামনেতা সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায়।
দুপুর ১.৩০: ব্রিগেডের মঞ্চে শুরু অনুষ্ঠান। গাইছেন কর্মী-সমর্থকরা।
দুপুর ১.০২: ইতিমধ্যেই ব্রিগেডে জমায়েত শুরু করেছেন কর্মীরা। ব্যবস্থাপনা খতিয়ে দেখছেন গণসংগঠনের নেতারা।
দুপুর ১২.২০: তিনটে থেকে শুরু সমাবেশ। ব্রিগেডে চলছে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি।
দুপুর ১২.০১: রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে কলকাতামুখী বাম কর্মী-সমর্থকরা। সমাবেশে যোগ দিতে ট্রেন, বাস-ফেরিতে তিলোত্তমার পথে সকলে।