সদ্য সমাপ্ত হওয়া পার্টি কংগ্রেসে তাঁকে কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য করা হয়েছে। তা নিয়ে অনেকের মধ্যে মতপার্থক্য ছিল। এখনও মতপার্থক্য রয়েছে দলের অন্দরে। আর তার মধ্যেই এবার সিপিএমের ব্রিগেডের বক্তা তালিকা থেকে সরল মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম। একবার চাপে প্রবেশ করানো হয়েছিল। কিন্তু আবার সরে গেল। তারপর যে নয়া তালিকা তৈরি হল সেখানে নাম নেই মীনাক্ষীর বলে সূত্রের খবর। আজ, রবিবার ব্রিগেড সমাবেশ। এই সমাবেশের আয়োজক দলের শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর সংগঠন। সিপিএমের বক্তা তালিকায় শেষ মুহূর্তে মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম দেওয়া হয়নি। তবে ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ড ভরাতে এবার রসনাতৃপ্তির ব্যবস্থা করা হয়েছে। যা নিয়ে এখন জোর চর্চা শুরু হয়েছে।
বরাবরই বামেদের ব্রিগেড সমাবেশে দু’রকম খাবারের ব্যবস্থা থাকে। কচুরি, আলুর তরকারি, মিষ্টি এবং চা। আর একটি মেনু হয়—মুড়ি, ঘুগনি, আলুর চপ এবং লাল চা। ২০১১ সাল থেকে বিরোধী আসনে বসে বামেরা। সেখানে বড় শরিক সিপিএম এবং অন্য বাম দলগুলি একই সারিতে রয়েছে। উলটে বিরোধী তকমাও ভালভাবে নেই। কারণ দিন দিন শূন্যতায় পৌঁছে গিয়েছে। আর এখনও তা কাটেনি। ২০২৬ সালে যে বিধানসভা নির্বাচন বাংলায় আছে তাতে শূন্যতা কাটবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান সবপক্ষই। তবে এবার কিন্তু মেনুতে পরিবর্তন করা হয়েছে।
আজকের ব্রিগেডের জনসভায় বক্তা তালিকায় নাম নেই মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের। এখানে বক্তা তালিকায় একমাত্র ‘পরিচিত’ নাম হিসাবে আছেন সিপিএম রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। আর কৃষকসভার অমল হালদার, ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহুরা থাকলেও এদের দিয়ে ভিড় টানা কতটা সম্ভব সেটা নিয়ে সংশয় আছে। বরং মীনাক্ষী থাকলে কিছু ভিড় টানা যেত। শুরুতে দলের পক্ষ থেকে প্রকাশিত বক্তাদের তালিকায় নাম ছিল না নতুন প্রজন্মের মুখ মীনাক্ষীর। পরে বক্তাদের তালিকায় যুক্ত করা হয় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায়ের নাম। আবার শেষে তা বাদ হয়ে যায়। যা নিয়ে দলের অন্দরে চর্চা শুরু হয়েছে।
২০২৪ সালে যুবনেত্রী মীনাক্ষীর আয়োজনে ‘ইনসাফ যাত্রা’ সমাবেশেও ভাল ভিড় হয়েছিল। কিন্তু শূন্যতা কাটেনি। এই আবহে রসনাতৃপ্তির মেনুতে রাখা হয়েছে—ভাত, ডাল, ডিম, তরকারি থেকে রুটি ও মাংস। এমন মেনু সত্যিই বেশ নজর কেড়েছে কমরেডদের। তাই তো মীনাক্ষীর নাম নেই জানতে পেরে নেতাদের ভাষণ শোনার বদলে এখন পিকনিকের মুডেই ব্রিগেড যাচ্ছে সবাই। পক্ককেশ নেতাদের বক্তৃতা শুনতে গ্রীষ্মের দাবদাহ উপেক্ষা করে ব্রিগেডে ভিড় হবে বলে মনে হচ্ছে না। তাই ভিড় টানতে এখন ডিম, মাংসকে সামনে রাখা হচ্ছে বলে অনেকের মত।