এক রাতে হিংসা বিধ্বস্ত মুর্শিদাবাদ ছেড়ে নৌকোয় পালাতে হয়েছিল। রবিবার সেই নৌকোতেই ঘরে ফিরলেন ঘরছাড়ারা। ধীরে ধীরে ছন্দে ফিরতে শুরু করেছে নবাবের শহর। বাসিন্দারাও একে একে ফিরতে শুরু করেছেন ঘরে।
সপ্তাহ দু’য়েক আগের কথা। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদ। রণক্ষেত্রর চেহারা নেয় সুতি, সামশেরগঞ্জ, ধুলিয়ানের বিস্তীর্ণ এলাকা। পুলিশের গাড়ি ভাঙচুর, বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ, খুন -- বাদ যায়নি কিছুই। তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল এলাকায়। সেই পরিস্থিতিতে ঘরবাড়ি ছেড়ে পালাতে শুরু করেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
এখন ফের ছন্দে ফিরছে মুর্শিদাবাদ। এ দিন ঘরছাড়াদের অনেকেই ফিরলেন নিজেদের বাড়িতে। নৌকো করে ভাগীরথী পেরিয়ে ধুলিয়ান পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনতলা সদরঘাটে এসে নামেন তাঁরা। প্রশাসনের তরফেই নৌকো পাঠানো হয়েছিল।
শনিবার সকালেও ঘরছাড়া বেশ কিছু পরিবার ঘরে ফেরেন। সংখ্যাটা ছিল শতাধিক। এ দিন নিজে দাঁড়িয়ে থেকে ঘরছাড়াদের ফিরে আসার তদারকি করেন তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন, ‘যাঁরা ঘর ছেড়ে গিয়েছিলেন, তাঁরা ফের নিজেদের ইচ্ছায় ধুলিয়ানে ফিরে এলেন। খুব ভালো খবর। ধুলিয়ান এখন শান্ত। আগামীতেও তাই থাকবে।’
গঙ্গার ঘাটে উপস্থিত ছিলেন জঙ্গিপুরের এসপি আনন্দ রায়ও। তিনি বলেন, ‘৫০ জন ছাড়া প্রায় সবাই মালদা থেকে ফিরে এসেছেন। আমরা তাঁদের নিয়ে যেতে এসেছি। এলাকা এখন শান্ত। হিংসার ঘটনায় পর থেকেই গ্রেপ্তারি শুরু হয়। এখনও পর্যন্ত হিংসার বিষয়ে ১৫৩টি মামলা রুজু করা হয়েছে। গ্রেপ্তার করা হয়েছে ২৯২ জনকে। শনিবারও খুন ও হিংসার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।’