শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি— চারটি গণসংগঠনের ডাকে রবিবার ব্রিগেড প্যারেড গ্রাউন্ডে সমাবেশ। বক্তার তালিকায় ছিলেন কৃষকসভার অমল হালদার, ক্ষেতমজুর সংগঠনের নিরাপদ সর্দার, বন্যা টুডু, বস্তি উন্নয়ন সমিতির সুখরঞ্জন দে, সিটুর অনাদি সাহুকে। শেষে সিপিএমের রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম। তবে, এ দিনের মঞ্চে দেখা যায়নি বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্রকে। দর্শকাসনে সামনের সারিতে ছিলেন সকলে। কিন্তু কেন?
সিপিএমের বক্তব্য, এই সমাবেশ ডাকা হয়েছিল শ্রমিক, কৃষক, খেতমজুর এবং বস্তি সংগঠনের তরফে। সেই কারণে এই চারটি সংগঠনের নেতৃত্বরাই উপবিষ্ট ছিলেন মঞ্চে। সেই অনুযায়ী বক্তার তালিকাও প্রস্তুত করা হয়েছে। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘এটা আমাদের দলে বজায় রাখা হয়। এর আগের ব্রিগেডেও তো উনি মঞ্চে ছিলেন না। আজকের সভায় বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্র, আমিও মঞ্চে ছিলাম না।’ মানুষের মাঝে থেকেই সভায় অংশ নেন বিমান বসু, সূর্যকান্ত মিশ্ররা।
গত বছর জানুয়ারিতে সিপিএমের ছাত্র–যুব ফ্রন্টের তরফে ইনসাফ ব্রিগেডের ডাক দেওয়া হয়েছিল। শনিবার ‘জনশূন্যতা’ দেখে যে আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল, এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে মেহনতি মানুষের ডাকে বৈশাখী ব্রিগেডের ভিড় দেখে খুশিই হয়েছেন বাম নেতৃত্ব। অনেকেই বলছেন, বক্তৃতার তালিকায় মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় ছিলেন না। শাখা সংগঠনের সভায় লাল পতাকার ভিড় ছিল যথেষ্টই। মোট আটটি ক্যামেরা, একটি ড্রোন, একটি জিমি জিব (ক্রেনে লাগানো ক্যামেরা) ব্যবহার করে সমাবেশের ছবি তোলা হয়েছে। সভার শেষে ‘পাখির চোখ’-এ সমাবেশের ছবি দেওয়া হয়েছে ফেসবুক হ্যান্ডলে।
যদিও, বামেদের ব্রিগেডকে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল বিজেপি। তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষ বলেন, ‘আবার বলছি, যাঁরা আজ সিপিএমের ব্রিগেডে যাবেন, বড় বড় কথা বলবেন, তাঁরা 99%ই বিজেপিকে ভোট দিয়েছেন, দিচ্ছেন। সভায় সামান্য কিছু লোক দেখানোটা বড় কথা নয়, এঁরাই ফিরে গিয়ে বিজেপিকে ভোট দেন।’ অন্যদিকে, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ‘বামেদের ব্রিগেড সমাবেশ মানে মাকুদের মিছিল। এরা ক্ষমতায় থাকতে শ্রমিক-কৃষকদের শোষণ করেছে, এখন এই নাটক করে জনগণের সহানুভূতি পাওয়ার চেষ্টা করছে। জনগণ এদের ভণ্ডামি বোঝে।’
তথ্য সহায়তা: মণিপুষ্পক সেনগুপ্ত