শুক্রবার রাতে চলছিল বিয়ের তোড়জোড়। হঠাৎই গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ব্লক প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে ওই বাড়িতে হানা দেয় পুলিশ। নাবালিকার বিয়ে বন্ধ রাখতে তার বাবা-মাকে অনুরোধ করেন পুলিশ-প্রশাসন। অভিযোগ, সেই সময়ে নাবালিকার বাবা-মা তাঁদের কথাতে রাজি হলেও পরে ওই রাতেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হয় ১৯ বছরের এক যুবকের সঙ্গে। শনিবার সন্ধ্যায় বিষয়টি জানতে পেরেই মেয়েটির বাবা-মাকে গ্রেপ্তার করে পশ্চিম মেদিনীপুরের সবং থানার পুলিশ। নির্দেশ অমান্য এবং নাবালিকা মেয়ের বিয়ে দেওয়ার অভিযোগে তাঁদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার রাতে পুলিশ আসার খবর পেয়েই নাবালিকাকে বাড়ি থেকে সরিয়ে দেয় তার বাবা-মা। এর পর পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদের মুখে নাবালিকার বাবা-মা জানান, তার মেয়ে মামার বাড়িতে রয়েছে। পুলিশ-প্রশাসনের তরফে তার বাবা-মাকে অনুরোধ করা হয়, যাতে তারা বিয়ের যাবতীয় আয়োজন বন্ধ রেখে মেয়ের প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেন। জানা গিয়েছে, সেই সময়ে নাবালিকার বাবা-মা রাজি হলেও পরে তারা সেই নির্দেশ অমান্য করে।
সূত্রের খবর, পুলিশ-প্রশাসনের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার রাতেই মেয়েটির বিয়ে দেওয়া হয় জগন্নাথচক এলাকার এক যুবকের সঙ্গে। সেই খবর পৌঁছয় সবং থানায়।
নাবালিকার অমতেই তার বাবা-মা তাকে বিয়ে দিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। রবিবার নাবালিকার বাবা-মাকে আদালতে তোলা হলে তাদেরকে জেল হেফাজতে নেওয়া হয়। এই ঘটনায় জেলা পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, নাবালিকার বিয়ে দেওয়ার অপরাধে ওই পুরোহিতকেও গ্রেপ্তার করা হবে। ছাড় পাবেন না আমন্ত্রিতরাও। ইতিমধ্যেই আমন্ত্রিতদের খোঁজ চালাতেও শুরু করেছে পুলিশ। বিষয়টি নিয়ে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়েছে জেলা পুলিশ ও প্রশাসনের আধিকারিকরা।