কোচবিহারে এক সন্দেহভাজন বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার। ধৃত যুবকে অনুপ্রবেশ ঘিরে প্রশাসনিক মহলে বিভিন্ন আশঙ্কা দানা বেঁধেছে। ধৃত যুবকের নাম সাহিন আলি। বাড়ি বাংলাদেশের পাগলাবাড়ি গ্রামে। সীমান্ত পেরিয়ে ওই যুবক এদেশে চলে এসেছিল বলে খবর। এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
কী কারণে সে কোচবিহারে প্রবেশ করেছিল, নাশকতা বা অন্য কোনও উদ্দেশ্য ছিল কিনা, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদিও দিঘলটারি ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে কাঁটাতার নেই। ফলে ভুল করে সে না বুঝে ভারতীয় ভূখণ্ডে চলে আসে বলে দাবি করেছে। যদিও রাতে কেন সে সীমান্ত এলাকায় ঘুরছিল? তা নিয়ে নানারকম সন্দেহ দানা বেঁধেছে। তাকে আরও জেরার জন্য পুলিশ ওই অনুপ্রবেশকারীকে গ্রেপ্তার করেছে।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে কোচবিহারের শালমারা বাজারে এক অপরিচিত যুবককে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখা যায়। তাঁকে দেখে স্থানীয়দের সন্দেহ হতেই পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। সাহেবগঞ্জ থানার পুলিশ ওই যুবককে আটক করে জিজ্ঞাসাবাস শুরু করে। তার থেকে কোনও বৈধ কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। জেরার মুখে ওই যুবক স্বীকার করে, সে সীমান্ত পেরিয়ে কোচবিহারে প্রবেশ করেছিল।
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে কোচবিহারের শীতলকুচির গাছতলা এলাকায় জমিতে চাষ করছিল উকিল বর্মন নামে এক ভারতীয় কৃষক। সে সময় তাঁকে অপহরণ করেছিল বাংলাদেশি দুষ্কৃতীরা। এখন ওই ব্যক্তি বাংলাদেশে বন্দি রয়েছেন। বিএসএফ-বিজিবি ফ্ল্যাগ বৈঠকের পরেও তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হয়নি। যা নিয়ে কোচবিহারে যথেষ্ট ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। একদিকে ভারতীয় যুবককে জোর করে আটকে রাখা, তার মধ্যে এই অনুপ্রবেশকারী গ্রেপ্তার যথেষ্ট রহস্যজনক বলে মনে করা হচ্ছে। প্রশাসনিক মহলে খতিয়ে দেখা হচ্ছে যে, এই যুবক কি দুষ্কৃতীমূলক কার্যকলাপের সঙ্গে জড়িত, নাকি এলাকায় এসে কোনও গুপ্তচর বৃত্তির পরিকল্পনা করছিল?