জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: ওয়াকফ ইস্যুতে দিন কয়েক আগে অশান্তি দানা বেঁধেছিল মুর্শিদাবাদ, মালদহ-সহ কয়েকটি জেলায়। পুলিশের বিরুদ্ধে নিষ্ক্রিয়তার অভিযোগ উঠেছিল। সেই ইস্যুতে এবার সরব হলেন বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। রবিবার দুপুরে গাইঘাটা থানা সামনে বিজেপির তরফে ডাকা গণঅবস্থান কর্মসূচি থেকে হিন্দুদের হাতে ‘অস্ত্র’ তুলে নেওয়ার নিদান দিলেন তাঁরা। গাইঘাটা থানার ওসিকে সরাসরি আক্রমণ করলেন শান্তনু ঠাকুর।
এদিন মঞ্চ থেকে লকেট বলেন, “হিন্দুদের প্রতিবাদ গড়ে তুলতে হবে। অস্ত্র হাতে অশুভ শক্তিকে বধ করতে হবে। একতরফা বেশিদিন চলে না। আমাদেরও সোজা হতে হবে। আমাদেরও হাতে অস্ত্র রাখতে হবে।” একই কথা শোনা গেল গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুরের গলায়। বললেন, “হিন্দু সনাতনীদের হাতে অস্ত্র তুলে নেওয়ার সময় এসেছে।” বারাকপুরের প্রাক্তন সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে শীঘ্রই আমরা মিথ্যাশ্রী পুরস্কার দেব। মুর্শিদাবাদে নাকি বিজেপির আরএসএস-এর লোকেরা গোলমাল পাকিয়েছে। আমরা যদি কাউন্টার করতাম তাহলে সংখ্যালঘুদের বাড়িঘর আক্রান্ত হতো। তারা জখম হতেন। এরকমও কোন লোককে কি মুখ্যমন্ত্রী খুঁজে বার করতে পারবেন? তাহলে ওনার অভিযোগ আমরা মেনে নেব।”
বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, “গাইঘাটার ওসির দালালি চরমসীমায় পৌঁছে গিয়েছে। সাবধান হয়ে যান। পশ্চিমবঙ্গে আমাদের সম্প্রদায়ের যা লোক আছে, এলে দাঁড়িয়ে থাকতে পারবেন না। সোজা হাই কোর্টে নিয়ে যাব। এক সপ্তাহ থানা থেকে বের হতে দেব না। প্রত্যেককে বলব পুলিশের কর্মকাণ্ডের উপর নজর রাখতে।” পালটা দিয়েছেন তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস। তিনি বলেন, “ওটা একটা উশৃঙ্খল অসভ্য দল। রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। ওদের মুখেই এ ধরনের কথাবার্তা মানায়।”