জানা গিয়েছে, মগরাহাটের উড়েলচাঁদপুর গ্রামের বাসিন্দা গোপীনাথ মণ্ডলের সঙ্গে কয়েকবছর আগে বিয়ে হয়েছিল সুস্মিতা মণ্ডল নামে ওই বধূর। দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। স্থানীয় সূত্রে খবর, বেশ কিছুদিন ধরেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি চলছিল। প্রতিবেশী উদয় মণ্ডল জানান, অভিযুক্ত গোপীনাথ অত্যন্ত রগচটা স্বভাবের। বিনা কারণেই যখন তখন যে কোনও কাউকে মারধর করত বলে অভিযোগ। প্রতিবেশীদের সঙ্গে নাকি সর্বদা দুব্যর্বহার করত। এসবের মাঝেই রবিবার সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় সুস্মিতার রক্তাক্ত দেহ।
মগরাহাট থানার এক আধিকারিক জানান, প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, ওই দম্পতির মধ্যে কিছুদিন ধরেই অশান্তি চলছিল। স্ত্রী বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছেন বলে সন্দেহ করত গোপীনাথ। তা নিয়েই এদিন ঝামেলা বাঁধে দম্পতির মধ্যে। সেই সময়ই গোপীনাথ স্ত্রীকে খুন করে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই মৃতার দিদি জামাইবাবুর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।