সংবাদদাতা, ফালাকাটা: রবিবার ভোর ৫টা নাগাদ ফালাকাটা ব্লকের দলগাঁও চা বাগানে খাঁচায় বন্দি হয় একটি চিতাবাঘ। বনদপ্তর জানিয়েছে, বাগানের দলমণি ডিভিশনের ৮ নম্বর সেকশনে খাঁচায় বন্দি হওয়া চিতাবাঘটি পূর্ণবয়স্ক, পুরুষ। স্থানীয়রাই প্রথম চিতাবাঘ বন্দি হওয়ার বিষয়টি দেখেন। পরে খবর যায় বনদপ্তরে। বনকর্মীরা এসে চিতাবাঘটি উদ্ধার করে নিয়ে যান।
চিতাবাঘ বন্দি হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়তেই উৎসাহিত লোকজন দলে দলে চিতাবাঘ দেখতে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। সেলফি তুলতে ভিড় করেন অনেকেই। বনদপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, চিতাবাঘটির স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর সেটিকে জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হবে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, দলগাঁও গ্রাম পঞ্চায়তের চা মহল্লায় কাজে গিয়ে গত দু’মাসে চিতাবাঘের হামলায় বিভিন্ন সময়ে মোট চারজন জখম হয়েছেন। তাই চিতাবাঘ নিয়ে শ্রমিক মহল্লা কার্যত সবসময়ই ভয়ে থাকে। অবশেষে একটি চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে বাসিন্দাদের।
বনদপ্তর চিতাবাঘ ধরতে ছাগলের টোপ দিয়ে দলগাঁও, তাসাটি, দলমণি চা বাগানে খাঁচা বসিয়েছে। রবিবার দলগাঁওয়ের খাঁচায় একটি চিতাবাঘ আটকে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দা সুনীলচিক বরাইক বলেন, চা বাগানে আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে। কারণ প্রায়ই গোরু, ছাগল তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এমনকী গত কয়েক মাসে বেশ কয়েকজন মানুষও আক্রান্ত হয়েছে। আরএক বাসিন্দা রঞ্জনা এক্কা বলেন, শিশুরা বাগানের মাঝ দিয়ে যাওয়া রাস্তা ধরেই স্কুলে যায়। ওদের স্কুলে পাঠাতে তাই ভয় হয়। আমরাও ভয়ে ভয়ে বাগানে চা পাতা তুলি। বনদপ্তরের খাঁচায় একটি চিতাবাঘা বন্দি হওয়ায় কিছুটা স্বস্তি। তবে আরও চিতাবাঘ থাকতে পারে।
বনদপ্তরের দলগাঁওয়ের রেঞ্জার ধনঞ্জয় রায় বলেন, একটি চিতাবাঘ খাঁচায় বন্দি হয়েছে। আরও চিতাবাঘ থাকলে খাঁচায় সেসবও বন্দি হবে। নিজস্ব চিত্র।