অলচিকি হাইস্কুলের ক্লাস নিচ্ছেন প্রাথমিক শিক্ষকরা, লাটে পড়াশোনা
বর্তমান | ২১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদদাতা, পুরাতন মালদহ: পুরাতন মালদহ ব্লকের থুকড়াবাড়ি অলচিকি হাইস্কুলে একজনও স্থায়ী শিক্ষক নেই। পড়ুয়াদের নিয়মিত ক্লাস নেন প্রাথমিক স্কুলের শিক্ষকেরা। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট স্কুলে গ্রুপ ‘ডি’ থেকে শুরু করে অন্যান্য শিক্ষাকর্মীও নেই। সেজন্য ওই স্কুলের টিআইসিকে কার্যত বাধ্য হয়ে নির্ধারিত সময়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ক্লাস খুলতে এবং বন্ধ করতে হয়। স্কুলের আরও এক শিক্ষক অবশ্য সহযোগিতা করেন। তবে মিড ডে মিল পরিচালনা, কন্যাশ্রী থেকে বিভিন্ন অফিস সংক্রান্ত কাজ, পড়ুয়াদের ক্লাস নিতে শিক্ষকদের কার্যত হিমশিম খেতে হচ্ছে বলে দাবি অভিভাবকদের। এছাড়াও স্কুলের মিড ডে মিলের নিজস্ব রান্নাঘর, খাবার শেড, বাউন্ডারি ওয়াল নেই বলেও অভিযোগ উঠেছে।
অভিভাবকদের দাবি, প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকেরা কীভাবে হাইস্কুলের ক্লাস নিচ্ছেন, তাঁদের বোধগম্য হচ্ছে না। ওই স্কুলে মাধ্যমিক পড়ুয়া রয়েছে। তারা ২০২৬ সালে প্রথম ওই স্কুল থেকে মাধ্যমিক পরীক্ষা দেবে। দ্রুত হাইস্কুলে স্থায়ী শিক্ষক দেওয়া উচিত।
স্কুল এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১৯ সালে ওই ব্লকের যাত্রাডাঙ্গা গ্রাম পঞ্চায়েতের থুকড়াবাড়ি গ্রামে অলচিকি জুনিয়র হাইস্কুলের প্রতিষ্ঠা হয়। পঠনপাঠন হতো স্থানীয় আলচিকি প্রাইমারি স্কুলের ভবনে। ২০২৪ সালে হাইস্কুলের অনুমোদন মেলে। বর্তমানে হাইস্কুলে ষষ্ঠ থেকে দশম শ্রেণি পর্যন্ত পঠনপাঠন হয়। খাতায়কলমে পঞ্চাশের বেশি পড়ুয়া রয়েছে। হাইস্কুলের পড়ুয়াদের পড়াশোনা হয় প্রাইমারি স্কুলের ভবনে। থুকড়াবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রামা ঠাকুর বলেন, আমাদের ৭ জন শিক্ষক ছিলেন। ৩ জন ট্রেনিং গিয়েছেন। আর দু’জন শিক্ষককে অলচিকি হাইস্কুলে নিয়ে গিয়েছে। বাকি আমরা দু’জন প্রাইমারিতে রয়েছি। অলচিকি হাইস্কুলের টিআইসি দিলীপ হেমব্রম সমস্যার কথা স্বীকার করেছেন। তাঁর কথায়, আমরা প্রাইমারি থেকে ডেপুটেশনে হাইস্কুলে এসেছি। কতটা সমস্যা হয় বোঝানো খুব মুশকিল। স্থায়ী শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী দিলে ভালো হয়। স্থানীয় বাসিন্দা তালা সোরেন বলেন, হাইস্কুলের পরিকাঠামোর সমস্যা রয়েছে। আগে প্রাইমারি শিক্ষক হাইস্কুলের ক্লাস নেন। পড়ুয়ারা কী শিখছে, বুঝতে পারছি না।
মালদহ জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক (মাধ্যমিক) বাণীব্রত দাস বলেন, বিষয়টি জানি। স্কুলটি আদিনা সার্কেলে রয়েছে। সেখানে প্রাইমারির শিক্ষক দেওয়া হয়েছে। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানিয়েছি। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিজস্ব চিত্র