• প্রধানের বাড়ি তৈরির উদ্যোগ পুলিসের
    বর্তমান | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদদাতা, বেলদা: পশ্চিম মেদিনীপুরের মোহনপুর ব্লকের নীলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের স্বামীহারা দু’বারের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান থাকেন জীর্ণ কুটিরে। গত ৮ মার্চ নারী দিবসের দিন ‘বর্তমান’ পত্রিকার প্রথম পাতায় প্রকাশিত হয়েছিল এই খবর। আর সেই খবরের জেরে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধানের জন্য পাকা বাড়ি তৈরির উদ্যোগ নিল জেলা পুলিস প্রশাসন। তাতে খুশি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান। ওড়িশা সীমানা লাগোয়া প্রান্তিক মোহনপুর ব্লকের নীলদা গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান ফিদি মুর্মু থাকেন ভাঙা ঘরে। স্বামীহারা এই গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান তিনটি কন্যা সন্তানের মা। ২০১৫ সালে মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে একটি জায়গা পাট্টা হিসেবে পেয়েছিলেন। আর সেখানে আবাস যোজনা ঘর শুরু করেছিলেন ২০২২ সালে। হঠাৎ করে স্বামী মারা যাওয়ায় তিন মেয়েকে নিয়ে অকূল পাথারে পড়েন তিনি। এদিকে কেন্দ্র সরকার বরাদ্দ বন্ধ করে দেওয়ায় ঘরের ভিত তোলা হলেও সেই ঘর সম্পূর্ণ করতে পারেননি। তবে সততার সঙ্গে কোনওদিনই আপস করেননি তিনি। তার এই সততাকে কুর্নিশ জানান এলাকাবাসী থেকে শুরু করে বিরোধী সদস্যরাও। ‘বর্তমান’এ প্রকাশিত ফিদি মুর্মুর খবরের জেরে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে সেই অর্ধসমাপ্ত বাড়ি সম্পূর্ণ করার উদ্যোগ নেওয়া হয়। 

    জেলা পুলিস সুপার ধৃতিমান সরকার বলেন, সংবাদ মাধ্যমে ওঁর বিষয়ে জানতে পারি। আর তারপরেই জেলা পুলিসের পক্ষ থেকে তাঁর ওই বাড়িটি সম্পূর্ণ করে দেওয়ার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা রাখছি, উনি কিছুদিনের মধ্যেই ওই নতুন বাড়িতে থাকতে পারবেন। ওঁর সততাকে কুর্নিশ জানাই। পাশাপাশি সংবাদ মাধ্যমকে ধন্যবাদ জানাই এই ধরনের বিষয়কে সামনে আনার জন্য। 

    এদিকে যাঁর বাড়ি তৈরি করা হচ্ছে সেই ফিদি মুর্মু বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর আদর্শকে মাথায় নিয়ে এগিয়ে চলেছি। জেলা পুলিসকে ধন্যবাদ যে, তাঁরা এভাবে আমার পাশে দাঁড়াতে এগিয়ে এসেছেন। পাশাপাশি আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)