• জিন্দালদের বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে স্বপ্ন দেখছেন শালবনীর মানুষ
    বর্তমান | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, মেদিনীপুর: ছাব্বিশের নির্বাচনের আগে একাধিক বড় প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ, সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনীতে একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের শিলান্যাস করবেন তিনি। জিন্দাল গোষ্ঠী এই প্রকল্পে ১৬  হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ করছে। এই প্রকল্প ঘিরে আশাবাদী প্রশাসনের আধিকারিকরাও। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি বলেন, এই পাওয়ার প্লান্ট তৈরি হলে বহু মানুষের কর্মসংস্থান হবে। এলাকার অর্থনীতি বদলে যাবে। জেলাশাসক খুরশিদ আলি কাদরি জানান,আজ দুপুরে হেলিকপ্টারে শালবনীতে আসবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্তারা ছাড়াও জেলা প্রশাসনের আধিকারিক ও জন প্রতিনিধিরা থাকবেন। শিলান্যাস করে মুখ্যমন্ত্রী আকাশপথে অথবা সড়ক পথে সার্কিট হাউসে পৌঁছবেন। সেখানে জেলার পুলিস-প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠকের সম্ভবনা রয়েছে। একইসঙ্গে জেলা তৃণমূলের প্রথম সারির নেতাদের সঙ্গেও বৈঠক হতে পারে। আগামীকাল, ২২ এপ্রিল দুপুরে মেদিনীপুরের কলেজ মাঠে সরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দেবেন মুখ্যমন্ত্রী। ওই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে তিনি সাধারণ মানুষের হাতে সরকারি অনুদান তুলে দেবেন। জিন্দাল গোষ্ঠীর আধিকারিক দিব্যেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, আজ অনুষ্ঠানস্থল থেকে গ্রামবাসীদের লাঞ্চের প্যাকেট দেওয়া হবে। তাছাড়া আলাদা করে মিষ্টি বিলিও হবে।

    প্রসঙ্গত, ২০০৭ সাল থেকেই শিল্পের স্বপ্ন দেখছে শালবনীর মানুষ। কিন্তু তাঁদের স্বপ্ন আর পূরণ হচ্ছিল না। বাম আমলে জিন্দালদের বৃহত্তম ইস্পাত কারখানা তৈরির পরিকল্পনা করা হয়েছিল। সেই সময় কুলফেনী, আসনাশুলি, গাইঘাট সহ প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ জমিদান করেছিলেন। জিন্দালরা সরকারি, রায়তি, পাট্টা জমি মিলিয়ে প্রায় ৪ হাজার ৩০০ একর জমি অধিগ্রহণ করে। ২০০৮ সালে তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য সেই কারখানার ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের অনুষ্ঠানে শালবনীতে এসেছিলেন। ফেরার পথে তাঁর কনভয়ে মাওবাদীদের মাইন ব্লাস্ট হয়। এই ঘটনার পর কারখানা তৈরি বন্ধ হয়ে যায়। ২০১৪ সালে স্থানীয়রা কারখানার দাবিতে আন্দোলন শুরু করেন। সেই আন্দোলনের ফলে ২০১৬ সাল নাগাদ শালবনীতে অধিগৃহীত জমির উপর একটি সিমেন্ট কারখানা তৈরি হয়। তবে তারপরেও অধিগৃহীত জমির প্রায় ৮০ শতাংশ পড়ে রয়েছে। জানা গিয়েছে, একসময়ে ভারতের প্রাক্তন ক্রিকেট অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখানে কারখানা তৈরির প্রতিশ্রুতি দিলেও তা এখনও বাস্তবায়িত হয়নি।
  • Link to this news (বর্তমান)