নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: বেলগাছিয়া ভাগাড় বন্ধ। ফলে বালি পুরসভার লিলুয়ার ছ’টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হচ্ছে চাঁদমারি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। এর পাশাপাশি বালি ও বেলুড় ছাড়াও সংলগ্ন আটটি পঞ্চায়েতের রোজকার আবর্জনা পড়ছে চাঁদমারিতে। বেলগাছিয়ায় ভয়াবহ ভূমিধসের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এবার সেখানে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করতে পরিকল্পনা করেছে বালি পুরসভা। এর জন্য জমি খোঁজা শুরু করেছে প্রশাসন। পাশাপাশি প্রায় তিন কোটি টাকা খরচ করে চাঁদমারিতে শুরু হয়েছে বায়ো মাইনিংয়ের কাজও।
হাওড়ার সঙ্গে এতদিন লিলুয়ার ছ’টি ওয়ার্ডের আবর্জনা ফেলা হতো বেলগাছিয়ার ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। বালি পুরসভার বাকি ২৭টি ওয়ার্ড ও সংলগ্ন আটটি পঞ্চায়েতের নিত্যদিনের আবর্জনা ফেলা হতো চাঁদমারিতে। বেলগাছিয়া ভাগাড় বন্ধের পর হাওড়ার আবর্জনা নিয়ে যাওয়া হচ্ছে কলকাতার ধাপা ও বৈদ্যবাটির ডাম্পিং গ্রাউন্ডে। আর বালির ৩৩ ওয়ার্ডের আবর্জনা পাঠানো হচ্ছে চাঁদমারিতে। জানা গিয়েছে, বালি ও বেলুড় থেকে রোজ প্রায় ৯০ মেট্রিক টন আবর্জনা বের হয়। পাশাপাশি পার্শ্ববর্তী বালি ঘোষপাড়া, সাঁপুইপাড়া বসুকাটি, নিশ্চিন্দা, চকপাড়া আনন্দনগর, চামরাইল, জগদীশপুর, অভয়নগর দুর্গাপুর-এক এবং দুই পঞ্চায়েত থেকে প্রায় ৩০ মেট্রিক টন আবর্জনা বের হচ্ছে। ফলে পাঁচ একর জায়গাজুড়ে থাকা চাঁদমারি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে ক্রমে বাড়ছে আবর্জনার চাপ। ইতিমধ্যে সেখানে এক লক্ষ মেট্রিক টনের বেশি আবর্জনা জমে গিয়েছে। তা জমিয়ে না রেখে বর্জ্য ব্যবস্থাপনার চিন্তাভাবনা করেছে বালি পুরসভা। সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্পের জন্য জায়গা খুঁজছে পুরসভা। বালি পুরসভার প্রশাসক ও মহকুমা শাসক (সদর) অমৃতা রায় বর্মন বলেন, ‘পচনশীল ও অপচনশীল আবর্জনা বাড়ি বাড়ি গিয়ে আলাদা করে সংগ্রহ হবে। তা বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কেন্দ্রে নিয়ে এসে প্রক্রিয়াকরণ হবে। বিষয়টি পরিকল্পনার পর্যায়ে রয়েছে।’ জানা গিয়েছে, জমি চিহ্নিত হলে পুর ও নগরোন্নয়ন দপ্তর সলিড ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট প্রকল্প তৈরি করবে।
চাঁদমারি ডাম্পিং গ্রাউন্ডে জমে থাকা আবর্জনার স্তূপের কারণে যাতে বেলগাছিয়ার মত পরিণতি না হয় সেজন্য বায়ো মাইনিংয়ের কাজ শুরু হয়েছে। কয়েক মাস আগে এই কাজে প্রায় তিন কোটি টাকা বরাদ্দ করেছে রাজ্য সরকার। এখন ধাপে ধাপে পাহাড় কেটে সমতল করা হচ্ছে। এর ফলে মিথেন গ্যাসের জেরে মাঝেমধ্যে আগুন লাগার ঘটনা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা। নিজস্ব চিত্র