• শ্মশানঘাট ও কবরস্থানের হাল ফেরাতে উদ্যোগী জেলা পরিষদ
    বর্তমান | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • নিজস্ব প্রতিনিধি, হাওড়া: কোথাও জল নেই, কোথাও বসার জায়গার অভাব। কোথাও আবার ছাউনিটুকুও নেই। হাওড়ার গ্রামীণ এলাকায় বহু শ্মশানঘাট ও কবরস্থানের অবস্থা খুবই বেহাল। এনিয়ে গ্রামবাসীদের অভিযোগও বাড়ছিল। তাই এবার জেলাজুড়ে শ্মশান ও কবরস্থানগুলির হাল ফেরাতে উদ্যোগী জেলা হল পরিষদ। পাশাপাশি গ্রামীণ হাওড়ায় প্রথমবার ইলেকট্রিক চুল্লিযুক্ত শ্মশান তৈরির পরিকল্পনা করছে জেলা পরিষদ।

    ডোমজুড়, সাঁকরাইল, বালি-জাগাছা ব্লকের বড় অংশ হাওড়া শহরঘেঁষা। তাই এই তিনটি ব্লকের বেশিরভাগ বাসিন্দাই দাহকার্যের জন্য শহরের শ্মশানগুলি ব্যবহার করে থাকেন। কিন্তু জগৎবল্লভপুর, পাঁচলা, আমতা, শ্যামপুরের বেশিরভাগ ব্লকেই শ্মশানগুলির অবস্থা খুব খারাপ। বেশিরভাগ শ্মশানেই পানীয় জলের অভাব রয়েছে। শ্মশানযাত্রীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত আসনও নেই। অনেক জায়গায় কংক্রিটের তৈরি বসার আসন ভেঙে গিয়েছে। সমস্যা বৃদ্ধি পায় তীব্র গরম ও বর্ষার সময়। সামান্য ছাউনিটুকুরও ব্যবস্থা নেই বহু শ্মশানে। শুধু তাই নয়, এমন ছোট ছোট প্রচুর শ্মশান রয়েছে, যেগুলির সুনির্দিষ্ট সীমানা প্রাচীরই নেই। একই অবস্থা বিভিন্ন পঞ্চায়েত এলাকায় থাকা কবরস্থানগুলির।

    আলোর ব্যবস্থা কিংবা প্রাচীর না থাকার কারণে রাত বাড়লেই রীতিমতো নেশাখোরদের ঘাঁটি হয়ে ওঠে সেগুলি। জেলা পরিষদ সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলা জুড়ে বেহাল শ্মশান ও কবরস্থানগুলিকে চিহ্নিত করা হচ্ছে। জেলা পরিষদের ৪২ জন সদস্যকে সেই কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। কোন শ্মশান কিংবা কবরস্থানে কী কী সংস্কারের প্রয়োজন, পঞ্চায়েত প্রধান ও আধিকারিকদের সঙ্গে নিয়ে জেলা পরিষদের সদস্যরা তা ঘুরে ঘুরে দেখছেন।

    জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তাপস মাইতি বলেন, ২০২৫-২৬ অর্থ বর্ষের টাকায় এই কাজ করা হবে। বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট তৈরির কাজ চলছে। প্রতিটি শ্মশান ও কবরস্থানে পর্যাপ্ত পানীয় জল ,বসার জায়গা ও ছাউনি থাকবে। বড় শ্মশানগুলিতে আলোর ব্যবস্থাও বৃদ্ধি করা হবে। হাওড়ার ১৪টি ব্লকে মোট ১৫৭টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। এত বড় জেলার গ্রামীণ এলাকায় নেই একটিও ইলেকট্রিক চুল্লিযুক্ত শ্মশান। তাই আগামী দিনে একটি ইলেকট্রিক চুল্লি তৈরির পরিকল্পনাও করছে জেলা পরিষদ।  নিজস্ব চিত্র
  • Link to this news (বর্তমান)