ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হচ্ছে মুর্শিদাবাদ। প্রায় ১০ দিন পর আজ ২১ এপ্রিল থেকে খুলছে স্কুল। কড়া নিরাপত্তায় স্কুলের পথে পড়ুয়ারা। সংশোধিত ওয়াকফ আইনের প্রতিবাদে জেলার সামশেরগঞ্জ, সুতি, ধুলিয়ান গত কয়েক দিনে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়েছে। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয়, কেন্দ্রীয় বাহিনী নামানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।
সংবাদসংস্থা ANI কে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ১১ এপ্রিল থেকে এখানে স্কুল কলেজ বন্ধ। তবে এখন পরিস্থিতি অনেকটাই ভালো। যদিও রাতারাতি এমন অশান্তির ছবিতে এখনও পুরোপুরি আতঙ্ক কাটেনি এলাকার লোকজনের।
ধুলিয়ানের এক বাসিন্দা ANI কে জানান, ‘এখন ধুলিয়ানের পরিস্থিতি স্বাভাবিক। ফোর্স রয়েছে। আমরা এখানে দীর্ঘদিনের বাসিন্দা। আমার বাবার প্রায় ৮০ বছর বয়স। বাবা বলছিলেন, এমন ঘটনা তিনি কখনও দেখেননি। তবে স্কুল কলেজ আসতে আসতে খুলছে। দোকানপাটও খুলছে।’
সোমবার সকালেও কেন্দ্রীয় বাহিনীকে এলাকায় দেখা গিয়েছে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যেই স্কুল বাস, টোটো, অটো, গাড়ি চলছে। রাস্তাঘাটে লোক তুলনামূলক অনেকটাই কম। তবে মানুষ ধীরে ধীরে পথে নামছেন। অন্য দিকে অশান্তির আবহে ভিটেমাটি ছেড়ে যাঁরা মালদায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরাও রবিবার ফিরে এসেছেন।
রবিবার ধুলিয়ান পুরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনতলা সদরঘাটে নৌকা করে ভাগীরথী পেরিয়ে এসে নামেন বহু বাসিন্দা। প্রশাসনের তরফেই এই নৌকা পাঠানো হয়েছিল। এর আগে শনিবারও ঘরে ফেরেন অনেকে।
গত দু’দিন মালদা, মুর্শিদাবাদে ছিল জাতীয় মহিলা কমিশনের টিম। কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকার নিজে ছিলেন সেখানে। রবিবার বিকালে রাজ্যপালের সঙ্গেও দেখা করেন তিনি। রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন। বিজয়া রাহাতকার জানান, দিল্লি ফিরে দ্রুত রিপোর্ট দেবেন তিনি।