• পড়ার চাপেই ফের আত্মঘাতী খড়্গপুর আইআইটির পড়ুয়া? দেহ উদ্ধারে উঠছে প্রশ্ন
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • খড়্গপুর আইআইটি থেকে উদ্ধার হলো এক পড়ুয়ার ঝুলন্ত দেহ। রবিবার রাতে ওই পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার করে খড়্গপুর টাউন থানার পুলিশ।

    পুলিশ ও আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রের নাম অনিকেত ওয়ালকার। তিনি ওশেন ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নোভাল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র ছিলেন। আইআইটি খড়্গপুরের জগদীশচন্দ্র বসু হলে থাকতেন তিনি। ওই হলের সি-২১৪ রুম থেকেই তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছে।

    কী কারণে এই ঘটনা তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার ধৃতিমান সরকার। ওই পড়ুয়া পড়াশোনার চাপ বা মানসিক অবসাদের কারণে আত্মঘাতী হয়েছেন কী না তাও দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পুলিশ সুপার।

    আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, অনিকেতের বাড়ি মহারাষ্ট্রের রামনগর থানার অধীন সাম্রাত অশোকনগর। পুলিশ জানিয়েছে, তাঁর বাড়িতেও খবর পাঠানো হয়েছে। অনিকেতের দেহ উদ্ধার করে রাখা হয়েছে খড়্গপুর মহকুমা হাসপাতালে। অনিকেতের বাড়ির লোকজন আসার পরেই দেহ ময়নাতদন্ত হবে বলে সূত্রের খবর।

    জানা গিয়েছে, জগদীশচন্দ্র বসু হলের সি-২১৪ রুমের দরজা রবিবার সন্ধ্যার পর থেকেই বন্ধ ছিল। রাতে তাঁকে একাধিকবার ডাকে সহপাঠীরা। কিন্তু কোনও সাড়া না মেলায় সন্দেহ হয় তাদের। পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রাতেই পুলিশ এসে দরজা ভেঙে অনিকেতের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পায়। প্রাথমিক ভাবে পুলিশের ধারণা , পড়ার অতিরিক্ত চাপ এবং মানসিক অবসাদের কারণেই আত্মহত্যা করেছেন অনিকেত।

    আগেও দেশের প্রাচীনতম এই আইআইটি ক্যাম্পাস থেকে উদ্ধার হয়েছে পড়ুয়াদের মৃতদেহ। চলতি বছরের জানুয়ারি মাসেই এক পড়ুয়ার দেহ উদ্ধার হয়। গত ১২ জানুয়ারি উদ্ধার হয় ইলেকট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র সাওন মালিকের দেহ। ২০২২ সালের ১৪ অক্টোবর অসমের তিনসুকিয়ার বাসিন্দা, মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং-র তৃতীয় বর্ষের ছাত্র ফয়জান আহমেদের দেহ উদ্ধার হয়। তাঁর মৃত্যু নিয়ে চলে চাপানউতোর। গত বছর দেবিকা পিল্লাই নামে এক ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। কেরলের চিপ্পড় থানা এলাকার বাসিন্দা দেবিকা-ও পড়ার চাপের কারণে মানসিক অবসাদে ভুগে আত্মঘাতী হন বলে জানা গিয়েছিল।

  • Link to this news (এই সময়)