• জঙ্গলে আগুনের আঁচ, কিং কোবরাদের লোকালয়ে আসার হিড়িক
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • এই সময় মালবাজার: জঙ্গলে আগুনের আঁচ এসে পড়ছে লোকালয়ে। জীবন বাজি রেখে কাজে যাচ্ছেন চা শ্রমিকরা। পাছে কিং কোবরার ল্যাজে পা পড়ে সেই ভেবে তটস্থ বাসিন্দারাও। শেষ তিনদিনে মালবাজার শহর লাগোয়া তিন চা বাগান থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রকাণ্ড কিং কোবরা। বাংলায় যাকে বলে শঙ্খচুড়। ফনা তুলে হিস হিস শব্দ নেই, বরং নিঃশব্দে চলাচল এদের। আর আকার আয়তনে এতটাই বড় যে, লজ্জায় ফেলবে বিরাট ময়লাকেও।

    গত শুক্রবার গরুবাথান ব্লকের মিশন হিল চা বাগান থেকে বিরাট আকৃতির কিং কোবরা উদ্ধার হয়েছিল। শনিবার মেটেলি ব্লকের বড়দিঘি চা বাগান থেকে পাওয়া যায় আরেকটি। আর এ দিন রবিবার মালবাজার ব্লকের মিনগ্লাস চা বাগান থেকে বন দফতরের কর্মীরা খাঁচাবন্দি করেন প্রকাণ্ড আরেক কিং কোবরাকে।

    চালসা লাগোয়া পাদ্রী কোঠি এলাকায় থাকেন কিং কোবরা ধরার অন্যতম পারদর্শী দিবস রাই। দিবস জানাচ্ছেন, শেষ সাত দিনে তিনি পাঁচটি কিং কোবরা উদ্ধার করেছেন। মালবাজারের পরিবেশকর্মী স্বরূপ মিত্র বলেন, ‘জঙ্গলে যে লাগাতার অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে তার ফলেই কিং কোবরা জঙ্গল থেকে বেরিয়ে চা বাগান হয়ে লোকালয়ের দিকে চলে আসছে।’

    স্বরূপের তত্ত্ব বাস্তব ভিত্তির সঙ্গে মিলে যাচ্ছে বলেই দাবি সর্পবিশেষজ্ঞ পরিবেশপ্রেমী শ্যামাপ্রসাদ পান্ডের। তিনি বলেন, ‘জঙ্গলে আগুনের ঘটনায় সব থেকে বেশি যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তাদের মধ্যে কিং কোবরা অন্যতম।’ ১৫ থেকে ১৮ ফুট দীর্ঘ হতে পারে এই সরীসৃপ। আগুনে ওদের বসবাসের জায়গা ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ওরা কাছাকাছি এলাকাগুলোতে ঢুকে পড়ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

    কিং কোবরার এক ছোবলে নিমেষে হাতির মৃত্যু হতে পারে। উত্তরবঙ্গের জঙ্গলের সবথেকে বিষধর এই কিং কোবরার আরেকটি প্রজাতি সুন্দরবন অঞ্চলে পাওয়া গেলেও, আকার আকৃতিতে উত্তরের কিং কোবরাই সব থকে বেশি বড় এবং ভয়ংকর বলে বিশেষজ্ঞদের দাবি।

  • Link to this news (এই সময়)