খড়গপুর আইআইটি-র হস্টেল থেকে উদ্ধার মহারাষ্ট্রের ছাত্রের দেহ
প্রতিদিন | ২১ এপ্রিল ২০২৫
অংশুপ্রতিম পাল, খড়গপুর: ফের ছাত্রমৃত্যু ঘিরে চাঞ্ল্য ছড়াল খড়গপুর আইআইটি-তে। রবিবার রাতে সেখানকার হস্টেল থেকে এক মারাঠি ছাত্রের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। প্রাথমিকভাবে তা আত্মহত্যার ঘটনা বলে মনে করছে পুলিশ। দেহটি আপাতত খড়গপুর মহকুমা হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। মৃত ছাত্রের বাড়ি মহারাষ্ট্রে। খবর দেওয়া হয়েছে তাঁর বাড়িতে। পরিবারের সদস্যদের উপস্থিতিতে দেহ হস্তান্তর করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ। এনিয়ে এখনও কোনও মামলা রুজু হয়নি। তবে অস্বাভাবিক মৃত্যুতে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করেছে খড়গপুর টাউন থানার পুলিশ। এনিয়ে সপ্তাহের প্রথম দিন আইআইটি চত্বরে চাপা উত্তেজনার পরিবেশ।
প্রতিষ্ঠান ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, খড়গপুর আইআইটি-র ওশান ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড নাভাল আর্কিটেকচার বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র অনিকেত ওয়ালকার। ২২ বছরের এই ছাত্রের বাড়ি মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়ার সম্রাট অশোকনগর এলাকায়। খড়গপুর আইআইটি-র জগদীশচন্দ্র বসু হলে (হস্টেল) থাকতেন অনিকেত। রবিবার রাতে নৈশভোজের জন্য তাঁকে ডাকতে যায় বন্ধুরা। দীর্ঘক্ষণ ডাকাডাকির পর দরজা না খোলায় তাঁরা হস্টেলের নিরাপত্তারক্ষীদের ডেকে পাঠান অনিকেতের বন্ধুরা। তাঁরাও কিছুক্ষণ চেষ্টার পর দরজা খুলতে না পেরে খবর দেন হিজলি ফাঁড়িতে। পুলিশ হস্টেলে পৌঁছে দরজা ভেঙে উদ্ধার করে অনিকেতের ঝুলন্ত দেহ। সেসময় তাঁর পরনে ছিল হাফপ্যান্ট, স্যান্ডো গেঞ্জি।
অনিকেতকে এই অবস্থায় দেখে অবাক তাঁর সহপাঠীরা। পুলিশ তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছে, ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের চতুর্থ বর্ষে পড়াশোনার বেশ চাপ ছিল। তা নিয়ে চিন্তিত ছিলেন অনিকেত। সেই চাপ সহ্য করতে না পেরেই কি আত্মঘাতী হওয়ার সিদ্ধান্ত তাঁর নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। এখনই এবিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ তদন্তকারীরা। অনিকেতের অস্বাভাবিক মৃত্যু নিয়ে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি আইআইটি কর্তৃপক্ষ।
উল্লেখ্য, এর আগে খড়গপুর আইআইটি-র হস্টেল থেকে আরও এক ছাত্রের দেহ উদ্ধার ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। সেই ঘটনা আত্মহত্যা নাকি খুুন, তা নিয়ে প্রশ্নের মীমাংসা গড়ায় আদালতে। হাই কোর্টে সেই মামলা এখনও চলছে। তারই মাঝে অনিকেত ওয়ালকারের ঝুলন্ত দেহ পাওয়া গেল। এই ঘটনায় ফের আইআইটি-র নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গেল।