ল্যাবে বিস্ফোরণে ঝলসে গিয়েছিল শরীরের ৯০ শতাংশ! সাতদিন পর মৃত্যু দুর্গাপুর NIT-র অধ্যাপকের
প্রতিদিন | ২১ এপ্রিল ২০২৫
সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, দুর্গাপুর: গবেষণাগারে কাজের সময়ে বিস্ফোরণে গুরুতর জখম দুর্গাপুরের এনআইটি-র অধ্যাপকের মৃত্যু হল সাতদিন পর। গত মঙ্গলবার ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ল্যাবে পরীক্ষার সময় বিস্ফোরণ ঘটে। তাতে গুরুতর জখম মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক এবং এক ছাত্র। অধ্যাপকের শরীরের ৯০ শতাংশই পুড়ে গিয়েছিল। উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁকে দিল্লি নিয়ে যাওয়া হয়। তা সত্বেও বাঁচানো যায়নি। সোমবার সকালে দিল্লির হাসপাতালে প্রাণ হারান বছর চৌষট্টির ইন্দ্রজিৎ বসাক। এই ঘটনায় শোকের ছায়া ক্যাম্পাসে। ছাত্রছাত্রীরাও শোকাহত।
পয়লা বৈশাখের দিন দুর্গাপুর এনআইটি-র কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগে পড়ুয়াদের থার্মিট ওয়েল্ডিং নিয়ে গবেষণার কাজ চলছিল। তখনই বিস্ফোরণ ঘটে। সেখানে থাকা রাসায়নিক ছিটকে পড়ে সিটি সেন্টারের রিকল পার্কের বাসিন্দা অধ্যাপক ইন্দ্রজিৎ বসাক এবং আসানসোলের বাসিন্দা এক ছাত্রের উপর। তাঁরা রীতিমতো ঝলসে যান। দু’জনকেই দুর্গাপুরের গান্ধী মোড়ের বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ছাত্রের শারীরিক অবস্থার উন্নতি হলেও অধ্যাপক দ্রুত অবনতির দিকে যান। তাঁর শরীরের প্রায় ৯০ শতাংশ ঝলসে গিয়েছিল। পরে এয়ার অ্যাম্বুল্যান্সে করে তাঁকে দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার সেখানেই মৃত্যু হয় ইন্দ্রজিৎবাবুর।
অধ্যাপকের মৃত্যুর খবর পৌঁছতেই এনআইটি ক্যাম্পাসে শোকের ছায়া। রাজ্যের মন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। ওঁর ছাত্রছাত্রী ও পরিবারকে সমবেদনা জানাই।” কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের পড়ুয়া এবং অন্যান্য অধ্যাপকরা সকলেই শোকাহত। ল্যাবে কাজ করতে গিয়ে কীভাবে এমন দুর্ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে কি দেশের অন্যতম সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ন্যূনতম নিরাপত্তাও নেই? এই প্রশ্নে তোলপাড় পড়ুয়া, অভিভাবক মহল।