ভক্ত আর ভগবান। নয়নে নয়ন মেলিয়া বসে আছেন দু’জনায়। এমন দৃশ্যই ধরা পড়ল দিঘায়। রবিবারই সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এসেছেন জগন্নাথদেব। এ দিকে দিঘাতেই তৈরি হচ্ছে তাঁর সুবিশাল মন্দির। উদ্বোধন হবে অক্ষয় তৃতীয়ায়। তার মধ্যেই এই ঘটনায় রীতিমতো হইচই পড়ে গিয়েছে।
বিকাল থেকেই ভিড় জমে গিয়েছিল দিঘার মাইতিঘাটে। লোকমুখে শোনা যাচ্ছিল, ‘মন্দির উদ্বোধনের আগে জগন্নাথদেব স্বয়ং এসেছেন। এ কী কম বড় কথা!’ অনেকেই এর মধ্যে ‘আধ্যাত্মিক আশীর্বাদ’, ‘শুভ সংকেত’-ও খুঁজে পান। ভিড় বাড়তে থাকে।
তারপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়। রাত নামে। কিন্তু জগন্নাথদেব থাকবেন কোথায়? ভক্তরা একে অন্যের মুখ দেখতে থাকেন। কিন্তু সাহস করে এগিয়ে আসেননি কেউই। ধীরে ধীরা ভিড় কমতে থাকে। আচমকাই উদয় হন স্থানীয় বাসিন্দা অবনী সামন্ত। তিনিই জানিয়ে দেন, প্রভুকে তিনি নিজের বাড়ি নিয়ে যাবেন।
যেমন কথা তেমন কাজ। রাত সাড়ে ৯টা নাগাদ জগন্নাথদেবকে ভোগীব্রহ্মপুর গ্রামের নিজের বাড়িতে নিয়ে গিয়ে তোলেন অবনী। পুজো করেন। প্রসাদ বিলি হয়। অবনীর বাড়িতে ভিড় জমান স্থানীয়রা। ভগবানকে একবার চোখের দেখা দেখবেন, এমনটাই মনে ইচ্ছে।
প্রসঙ্গত, রবিবার বিকেলে সমুদ্রের জলে ভেসে ওঠে জগন্নাথ দেবের এই কাঠের মূর্তি। মাইতি ঘাটেই নতুন ঘাট নির্মাণের কাজ চলছিল। সেই সময়েই হঠাৎ মিস্ত্রিদের চোখে পড়ে কাঠের জগন্নাথ মূর্তি। জল থেকে তুলে এনে মূর্তিটিকে পাড়ে নিয়ে আসেন তাঁরাই।