চাঁদকুমার বড়া, কোচবিহার
দখল হয়ে যাওয়া জমি উদ্ধারে এ বার এআই প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করল উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল। ইতিমধ্যেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার করতে ৪৫টি ড্রোন ক্যামেরা কিনেছে তারা। কাজে গতি আনতে বা সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য ডেডিকেটেড এআই–ভিত্তিক সফটওয়্যার তৈরির কাজ শুরু করেছে রেলের একটি বিশেষ টিম।
রেলের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের পাঁচটি ডিভিশনের অন্তর্গত সমস্ত বড় রেলওয়ে স্টেশন এলাকার তথ্য তুলে আনার জন্য এই প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। রেলের অধীনে থাকা এলাকায় কত জমি রয়েছে, তার মধ্যে কত দখল হয়ে গিয়েছে, কোথায় বাড়ি বা দোকান তৈরি করা হয়েছে– সব তথ্য আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে জানা সম্ভব হবে। এরপর ধাপে ধাপে তা উদ্ধারে কাজ করবে রেল পুলিশের বিশেষ টিম।
তবে এআই প্রযুক্তি শুধুমাত্র জমি উদ্ধারে কাজে লাগানো হচ্ছে না। অসমের গুয়াহাটি স্টেশনে এ আই প্রযুক্তির মাধ্যমে স্টেশনে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার পরিচালনা করা হবে। তার জন্য সেখানে ১৩৫টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হয়েছে। ধাপে ধাপে অন্য বড় রেল স্টেশনগুলোতেও সিসিটিভি ক্যামেরা নজরদারিতে এআই প্রযুক্তির ব্যবহার করা হবে। উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক কপিঞ্জল কিশোর শর্মা জানিয়েছেন, ‘আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে আকাশপথে রেলের সম্পত্তি জরিপ করা হবে। রেলের জমি কোথায়, কী ভাবে দখল হয়েছে তা দেখে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
জানা গিয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি এবং মার্চ মাসে অবৈধ দখলদারদের কাছ থেকে ২১০টি রেলওয়ে কোয়ার্টার খালি করে উদ্ধার করা হয়েছে। রেলের জমিতে থাকা বেশ কিছু দোকান ও কাঠামো ভেঙে ফেলেছে তারা। অসমের নিউ গুয়াহাটি রেলওয়ে কলোনিতে ২৫০টি রেল কোয়ার্টার দখল হয়ে রয়েছে।
সেগুলোও খালি করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কী ভাবে কাজ করবে এআই প্রযুক্তি? প্রথমে ড্রোন ক্যামেরা দিয়ে দখল হয়ে থাকা এলাকার ছবি, লোকেশন ডাউনলোড করা হবে। এরপর সেই ভিডিয়ো এবং স্টিল ছবি এআই সফটওয়্যারে ফেলা হবে। জিপিএস লোকেশনও থাকবে তাতে। তথ্যের উপর ভিত্তি করে এআই প্রযুক্তি একেবারে নিখুঁত হিসেব দেবে দখলকৃত জমির। যে এলাকায় রেলের জমি দখল হয়েছে তার আশপাশে কী রয়েছে তারও তথ্য মিলবে।