জাতীয় মহিলা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তৃণমূল সাংসদের
দৈনিক স্টেটসম্যান | ২১ এপ্রিল ২০২৫
জাতীয় মহিলা কমিশনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুললেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ সাগরিকা ঘোষ। ভারত সরকারের বিধিবদ্ধ সংস্থাটিকে ‘বিজেপির মহিলা শাখা’ হিসাবে অভিহিত করেন তিনি। সামাজিক মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে শেষবার যে জাতীয় মহিলা কমিশনকে দেখা গিয়েছিল, তারা ভুয়ো ধর্ষণের অভিযোগে মহিলাদের কাগজে সই করতে বাধ্য করে, সেই কমিশন এখন মালদহ এবং মুর্শিদাবাদে।’
সাগরিকার প্রশ্ন, ‘আবারও কি ফাঁকা কাগজে সই করানো হয়েছে? জাতীয় মহিলা কমিশনের সদস্য অর্চনা মজুমদার ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রার্থী হিসাবে দাঁড়িয়েছিলেন। আমরা কি সত্যিই বিজেপির মহিলা মোর্চার কাছ থেকে বস্তুনিষ্ঠ ‘রিপোর্ট’ পেতে পারি, সরি জাতীয় মহিলা কমিশন।’
জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন বিজয়া রাহাতকরের নেতৃত্বে একটি দল শনিবার মুর্শিদাবাদ জেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে। ওই জেলার মানুষদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলা হবে, এমনই আশ্বাস দিয়েছেন কমিশনের সদস্যরা।
জাতীয় মহিলা কমিশন ‘শ্বেতপত্রের জন্য কুখ্যাত কমিশন’-এ পরিণত হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তৃণমূল সাংসদ। কমিশনের সদস্যরা আদৌ নিরপেক্ষ রিপোর্ট দাখিল করবে কি না, সেই আশঙ্কাও প্রকাশ করেন সাগরিকা ঘোষ।
তৃণমূল সাংসদ বলেন, ‘জাতীয় মহিলা কমিশনকে শ্বেতপত্রের জন্য কুখ্যাত কমিশন হিসাবে তুলে ধরা উচিত…জাতীয় মহিলা কমিশন বা কুখ্যাত শ্বেতপত্র কমিশন সন্দেশখালিতে গিয়ে মহিলাদের ধর্ষণের অভিযোগ সাজানোর জন্য ফাঁকা কাগজে স্বাক্ষর করিয়েছিল…সম্পূর্ণ কাল্পনিক ধর্ষণের অভিযোগ সাজানো হয়েছিল কাগজের ফাঁকে…এখন মালদহ ও মুর্শিদাবাদে রয়েছে জাতীয় মহিলা কমিশন বা কুখ্যাত শ্বেতপত্র কমিশন। আমাদের প্রশ্ন, আরও শ্বেতপত্র আসছে তো?’
প্রসঙ্গত, সংশোধিত ওয়াকফ আইনের বিরুদ্ধে আন্দোলনের আবহে সপ্তাহখানেক আগে অশান্তি ছড়িয়ে পড়ে মুর্শিদাবাদের জঙ্গিপুর, সুতি, সামশেরগঞ্জ সহ বেশ কিছু এলাকায়। সেই অশান্তির জেরে তিনজন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনার তদন্তে রাজ্য পুলিশ সিট গঠন করেছে। তবে প্রশাসনের উদ্যোগে ইতিমধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে জনজীবন। পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদে অশান্তির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩৮টি এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। আর গ্রেপ্তারির সংখ্যা ২৮৯।