জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: 'পূর্ব ভারতে এমন প্রকল্প আগে হয়নি'। পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনিতে জিন্দালদের তাপবিদ্য়ুত্ কেন্দ্রের শিলান্যাস করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বললেন, 'এখানে ৮০০ করে দুটি ইউনিট হবে। অর্থাত্ ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে। এটা হলে ২৩ জেলার মানুষ বিদ্যুত্ পাবেন। এই প্রকল্পের ১৫ হাজার মানুষের কাজ হবে। জিন্দাল কাছ থেকে আমরা বিদ্যুত্ কিনে নেব'।
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, 'আমি সজ্জন জিন্দাল ও সঙ্গীতা জিন্দলের কাছে খুবই কৃতজ্ঞ। ১৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করে, ১৬০০ মেগাওয়াটের যে ক্রিটিক্যাল কোল বেসড থার্মাল পাওয়ার প্লান্টের শিলান্যাস হল। বাংলায় ল্যান্ডমার্ক প্রোজেক্ট। আমাদের সাথে ওদের একটা চুক্তি হয়েছে। পূর্ব ভারতে এমন প্রকল্প আগে হয়নি। এটা পরিবেশবান্ধব প্রকল্প। কোনও দূষণ হবে না। টেন্ডারের মাধ্যমে তারা সুযোগ পেয়েছেন। আমরা অনুমতিপত্র দিয়েছি। ওদের আরও দুটো ইউনিট তৈরির পরিকল্পনা আছে'।
মুখ্যমন্ত্রী জানান, 'বাংলায় আরও বিদ্যুত্ দরকার। যখন আমরা ক্ষমতা এসেছিলাম,তখন বিদ্য়ুতের উত্পাদন গত মাত্র ২ হাজার মেগাওয়াট। এখন বাংলায় ১০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুত্ উত্পাদন হচ্ছেন। আমরা উত্পাদন বাড়িয়ে ১৮ হাজার মেগাওয়াট করছি। জিন্দাল দুটো ইউনিট করল। রাজ্য বিদ্যুত্ দফতরও আরও ৫ তাপবিদ্যুত্ কেন্দ্র তৈরি করছে। সাঁওতালডি, দুর্গাপুর আর সাগরদিঘিও প্রায় শেষের মুখে'।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, 'যত বিদ্যুত্ উত্পাদন হবে, তত বিদ্যুতের দাম কমের দিকে যাবে। আগে সবাই বলত লোডশেডিং সরকার, আর নেই দরকার। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ১২ ঘণ্টাই বিদ্যুত্ ঘাটতি থাকত। এখন ২৪ ঘণ্টাই আমরা বিদ্যুত্ সরবরাহ করি। ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুত্ সরবরাহ করতে গিয়ে ৭৬ হাজার কোটি টাকা খরচ করেছি। সাড়ে ৩ লক্ষ কিমি বিদ্যুতে লাইন করা হয়েছে। ৭৫০টির বেশি সাব স্টেশন করা হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতেই গত ১৪ বছরে আমরা খরচ করেছি ২৩ হাজার ৭০০ কোটি টাকা। আমরা চাই না, আমাদের নতুন প্রজন্ম কোনও সমস্যায় পড়ুক'।