• ঝুলিতে ১৯৭টি সিনেমা হলের হাজারেরও বেশি টিকিট, গিনেস বুকে কলকাতার শিক্ষক
    প্রতিদিন | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এক ক্লিকেই এখন সব কিছু। তা সে সাংসারিক জিনিসপত্র হোক কিংবা পোশাক কেনাকাটি। আবার বিনোদনের কথা ভাবুন না। সিনেমাহলে দাঁড়িয়েই বা আজকাল টিকিট কাটেন ক’জন। সবই অনলাইনে। তবে সব কিছুরই যে ব্যতিক্রম থাকে। এই যুগে দাঁড়িয়েও সিনেমাহলের কাউন্টারে দাঁড়িয়ে টিকিট কাটা এবং তার জমানোই নেশা দেবাঞ্জন শীলের। আর এই নেশার সৌজন্যেই কলকাতার শিক্ষক নাম তুলেছেন গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে।

    ছোট থেকেই সিনেমার পোকা দেবাঞ্জন। প্রায় সব ছবির সংলাপ, গান তাঁর ঠোঁটস্থ। সেই দেবাঞ্জনের প্রথমবার লেকটাউনে জয়া সিনেমাহলে সিনেমা দেখেন। সময়টা ২০০৩ সাল। ‘বোম্বাইয়ের বোম্বেটে’ দেখতে গিয়েছিলেন। ওই ছবির টিকিটের কাউন্টারপার্ট জমিয়ে রেখেছিলেন। এরপর যত দিন গিয়েছে, ততই ছবি দেখার প্রবণতা বাড়ে। কখনও রক্সি। কখনও প্যারাডাইস, এলিট, ছবিঘর।

    আবার কখনও মিনার, বিজলির মতো প্রেক্ষাগৃহে ছবি দেখেছেন। শুধু কলকাতা নয়। মেদিনীপুর থেকে বারাসত, বর্ধমান থেকে উত্তরবঙ্গের একাধিক প্রেক্ষাগৃহে গিয়েছেন তিনি। যেখানে যাই না কেন, যে সিনেমাই দেখুন না কেন ? টিকিটের কাউন্টারপার্ট জমিয়ে রাখতে ভোলেন না দেবাঞ্জন। বর্তমানে তাঁর সঞ্চয়ের ঝুলিতে ১৯৭টি প্রেক্ষাগৃহের বিভিন্ন ছবি ১ হাজার ৩৪ টি শো-র টিকিট। সবচেয়ে বেশি জয়া সিনেমাহলে গিয়েছেন দেবাঞ্জন। ওই সিনেমাহলের ১৫৪টি টিকিট রয়েছে তাঁর কাছে।

    বাগুইআটির জ্যাংরার বাসিন্দা দেবাঞ্জন। পেশায় বেসরকারি স্কুলের শিক্ষক। সম্প্রতি তাঁর সংগ্রহে থাকা টিকিটগুলি গিনেস কর্তৃপক্ষকে পাঠান। আবেদন খতিয়ে দেখার পর তাঁর বাড়িতে গিনেস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তরফ থেকে মেডেল এবং সার্টিফিকেট পৌঁছে গিয়েছে। তা হাতে পেয়ে খুশি দেবাঞ্জন। সিঙ্গল স্ক্রিন বন্ধ হয়ে যাওয়া নিয়ে হতাশ তিনি। আপাতত তাঁর সঞ্চয়ে থাকা প্রেক্ষাগৃহ টিকিটের স্মৃতি আঁকড়েই দিন কাটাতে চান দেবাঞ্জন।
  • Link to this news (প্রতিদিন)