• যোগ্য-অযোগ্য কারা? তালিকা প্রকাশে চাপ বাড়াতে SSC ভবন অভিযান ‘যোগ্য’ শিক্ষকদের
    প্রতিদিন | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • রমেন দাস ও বিধান নস্কর: শীর্ষ আদালতের রায়ে আচমকা চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক। যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে এখনও বিস্তর অনিশ্চয়তা থাকায় ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলটাই বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। তবে এরপরও যোগ্য-অযোগ্য কারা, সেই সংক্রান্ত পৃথক তালিকা প্রকাশের দাবি ছিল চাকরিহারাদের। গত সপ্তাহে এসএসসি দপ্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে কমিশনার উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন তাঁরা। আশ্বাস মেলে, ২১ এপ্রিল যোগ্য-অযোগ্যর পৃথক তালিকা প্রকাশের সম্ভাবনা। বিকেলের পর তা পর্ষদের ওয়েবসাইটে আপলোড হতে পারে।

    আর সে বিষয়ে কমিশনের উপর চাপ বাড়াতে আজই সল্টলেকে এসএসসি ভবন অভিযানে নামলেন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চ’। এদিন দুপুরে করুণাময়ী বাসস্ট্যান্ডের কাছে জমায়েত করে আচার্য সদনের দিকে এগোন তাঁরা। তালিকা না বেরনো পর্যন্ত সেখানেই অবস্থান করবেন বলে জানিয়েছেন মঞ্চের সদস্যরা।

    কারা যোগ্য, কারাই বা অযোগ্য? তা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মূল সহায় হল ওএমআর শিট। কিন্তু নিয়োগ দুর্নীতিতে সেই ওএমআর শিটই নষ্ট করে ফেলা হয়েছে বলে অভিযোগ। তবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের কাছে তার ‘মিরর ইমেজ’ রয়েছে। কমিশন সেই মিরর ইমেজ সংগ্রহ করে তা প্রকাশ করতে আগ্রহী বলে সেদিনের বৈঠকে জানিয়েছিল। সেইমতো আজই তা প্রকাশ পাওয়ার কথা। এদিন সেই ওএমআর প্রকাশের আগে এসএসসির (SSC) কাছে আরও বেশি কিছু দাবি তুলে ধরলেন ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে’র সদস্যরা। সংগঠনের তরফে মেহবুব মণ্ডল এদিন জানান, তালিকা প্রকাশের পর অবিলম্বে ‘অযোগ্য’দের কাজ থেকে বরখাস্ত করতে হবে।

    সুপ্রিম কোর্ট ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য? সোমবার তা জানতে চেয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। কারণ অভিযোগ উঠেছে, ‘দাগি’ বা ‘অযোগ্য’দের বেতন দেওয়া হচ্ছে, যাতে সমস্যায় পড়ছেন ‘যোগ্য’রা। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি বুধবার। তার মাঝে ‘যোগ্য শিক্ষক-শিক্ষিকা অধিকার মঞ্চে’র দাবি, ‘অযোগ্য’দের কাজ থেকে বরখাস্ত করা সঙ্গতিপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। 
  • Link to this news (প্রতিদিন)