গোবিন্দ রায়: চাকরি বাতিলের নির্দেশের পাশাপাশি ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের বেতন ফেরতের নির্দেশ দিয়েছে শীর্ষ আদালত। কিন্তু বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য? এবার তা জানতে চাইল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী বুধবার, অর্থাৎ পরবর্তী শুনানিতে রাজ্যকে জবাব দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশ মানা হয়নি, এই অভিযোগে আদালত অবমাননার মামলা দায়ের হয় বিচারপতি দেবাংশু বসাকের ডিভিশন বেঞ্চে। এদিন সেই মামলার শুনানিতে বিচারপ্রতি জানতে চান, ‘অযোগ্য’ চাকরিহারাদের বেতন ফেরাতে কী পদক্ষেপ করছে রাজ্য? অভিযোগ, ‘দাগি’ হিসেবে চিহ্নত হওয়া সত্ত্বেও নাকি চাকরিহারাদের বেশ কয়েকজন এখনও বেতন পাচ্ছেন। তাতে রাজ্যের কি পদক্ষেপ ? এদিন সেই প্রশ্নও তোলে আদালত। আগামী বুধবার এই মামলার পরবর্তী শুনানি। ওইদিন স্কুল সার্ভিস কমিশনের ওয়েবসাইটে ওএমআর শিট আপলোডের যে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্ট, তা পালন হয়েছে কিনা, বা কী পদক্ষেপ নিয়েছে কমিশন, গোটা বিষয়টাই জানাতে হবে।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ প্রক্রিয়া ‘অসাংবিধানিক’ ও ‘প্রাতিষ্ঠানিক দুর্নীতি’ বলে তোপ দেগে সম্প্রতি এসএসসির ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে সুপ্রিম কোর্ট। এক নিমেষে চাকরি হারিয়েছেন ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। তারপর নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে সেই চাকরিহারাদের মধ্যে যারা ‘যোগ্য’ তাঁদের সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বারবার জানান, ‘যোগ্য’ একজনেরও চাকরি যাবে না। একাধিক বিকল্প পরিকল্পনা করা রয়েছে বলেও জানান তিনি। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী সকলকে নিয়মিত স্কুলে যাওয়ার কথা বলেছিলেন। বলেছিলেন, “কাজ করে যান। বাচ্চাদের শিক্ষা দিন। ২ টো মাস কষ্ট করুন।” তাতেও আন্দোলন থামেনি। ডিআই অফিস অভিযান করেন চাকরিহারাদের একাংশ। অনশনের পথেও হাঁটেন। এরই মাঝে গত সপ্তাহে শিক্ষামন্ত্রী চাকরিহারাদের সঙ্গে বৈঠক করেন। আজ, সোমবার যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা প্রকাশ করবে এসএসসি।