প্রাথমিকে চাকরি বাতিল মামলা: ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে হাই কোর্টে নতুন বেঞ্চে শুনানি
প্রতিদিন | ২১ এপ্রিল ২০২৫
গোবিন্দ রায়: ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিল মামলায় বেঞ্চ বদল। আগেই কলকাতা হাই কোর্টের বিচারপতি সৌমেন সেন এই মামলা থেকে অব্যাহতি নিয়েছিলেন। ফলে ৭ এপ্রিল শুনানির কথা থাকলেও তা হয়নি। অপেক্ষা ছিল কোন বেঞ্চে মামলাটি যাবে, কবে শুনানি হবে। সোমবার হাই কোর্ট সূত্রে জানা গেল, বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চ প্রাথমিকে ৩২ হাজার চাকরি বাতিলের মামলা শুনবে। আগামী ২৫ এপ্রিল থেকে শুরু হবে শুনানি পর্ব। মূল মামলাটির শুনানি হবে ২৮ তারিখ।
২০১৪ সালের টেটের পর তৈরি প্যানেলের ভিত্তিতে ২০১৬ সালে নিয়োগ হয় রাজ্যের প্রাথমিক স্কুলগুলিতে। কিন্তু সেই নিয়োগেও দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। ২০২৩ সালের মে মাসে কলকাতা হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় দুর্নীতির অভিযোগে ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। প্রথমে বিচারপতি সৌমেন সেন ও বিচারপতি স্মিতা দাস দে-র ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটি শুনানির কথা ছিল। তার জন্য ৭ এপ্রিল দিন ধার্য করা হয়। কিন্তু ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে বিচারপতি সেন মামলা থেকে সরে দাঁড়ান। ফলে জটিলতা তৈরি হয়। মামলা যায় প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে।
এরপরই প্রশ্ন উঠেছিল, প্রাথমিকে ৩২ হাজার শিক্ষকের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে শুনানি কবে হবে? কোন বেঞ্চেই বা হবে? সোমবার তা স্থির করে দিল হাই কোর্ট। বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তীর ডিভিশন বেঞ্চে ২৫ তারিখ থেকে শুরু হবে শুনানি পর্ব। প্রাথমিকে এই চাকরি বাতিলের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বোর্ডের আবেদনের শুনানি দিয়ে তা শুরু হবে বলে সূত্রের খবর। ২৮ এপ্রিল হবে মূল মামলার শুনানি। সম্প্রতি, সুপ্রিম কোর্টের রায়ে রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক-অশিক্ষক কর্মীর। যার জন্য স্কুলগুলিতে পড়াশোনার পরিবেশ বিঘ্নিত হয়েছে। সমস্যার আশু সমাধানে আপাতত বাতিল হওয়া শিক্ষকদের স্কুলে গিয়ে কাজ চালানোর কথা বলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর আবার ৩২ হাজার প্রাথমিক শিক্ষকের চাকরির ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে।