• ‘আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি…’, শালবনির অনুষ্ঠানে মেদিনীপুর নিয়ে বড় আশ্বাস সৌরভের
    এই সময় | ২১ এপ্রিল ২০২৫
  • মুখ্যমন্ত্রীর মাদ্রিদ সফরেও সঙ্গী ছিলেন। তাঁকে দেখা গিয়েছে ফেব্রুয়ারির বিশ্ব বাণিজ্য বঙ্গ সম্মেলনেও। ক্রীড়া জগতের সাফল্যের পর শিল্প জগতেও পা রেখেছেন মহারাজা। সোমবার পশ্চিম মেদিনীপুরের শালবনির তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধনেও অতিথি ছিলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। মেদিনীপুরের মাটিতে দাঁড়িয়ে সৌরভ জানালেন, এই কারখানার ফলে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে গোটা জেলার চিত্রটাই বদলে যাবে। তাঁর কথায়, ‘আগামী পাঁচ বছর খুব সুন্দর কাটবে। মেদিনীপুরের মানুষদের চাকরি হবে।…আমি গ্যারান্টি দিচ্ছি, এই পরিকাঠামো থেকে আপনার যা সুযোগ-সুবিধা পাবেন, পাঁচ বছর পর আপনাদের কোনও অভিযোগ থাকবে না।’

    একদিকে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র অন্যদিকে এর পাশেই ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরি করেছে জিন্দাল গোষ্ঠী। তাপবিদ্যুৎ উৎপাদনের পাশাপাশি স্কিল ডেভেলপমেন্ট সেন্টার গড়ার ব্যাপারে জোর দিচ্ছে জিন্দাল গোষ্ঠী। সৌরভের ব্যাখ্যা, ‘আমি সজ্জন জিন্দালজিকে বহুদিন ধরে চিনি। আমি ওঁদের বেঙ্গালুরুর বিজয়নগর প্রজেক্ট দেখেছি। আমি আমার জ্ঞান থেকে বলতে পারি, যেখানেই এরা পাওয়ার প্ল্যান্ট, কারখানা তৈরি করেন, সেই জায়গাটির চিত্রটাই ওরা বদল করে দেন। আমি বলতে পারি, আজ থেকে পাঁচ বছরের মধ্যে গোটা জেলাটাই বদলে যাবে। আমি দেখেছি, বিজয়নগরের মানুষের জীবনযাপন বদলে গিয়েছে।’

    জিন্দাল গোষ্ঠীকে মেদিনীপুর ছাড়াও বাংলার অন্যান্য প্রান্তে বিনিয়োগের আহ্বান করেন সৌরভ। উল্লেখ্য, এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে ১৫ কিমি দূরে একটি ইস্পাত কারখানা তৈরি করতে চলেছেন সৌরভ নিজেই। গত কয়েক বছরে সৌরভকেও শিল্পোদ্যোগ নিতে দেখা গিয়েছে। শিল্পবান্ধব পরিবেশে সরকারের সহায়তার কথা মনে করবে দিয়ে সৌরভ বলেন, ‘বাংলাকে জিন্দাল বিনিয়োগে জায়গা হিসাবে বেছে নেওয়ার জন্য আমি ধন্যবাদ জানাই। আমি মনে করি, শুধু মেদিনীপুর নয়, গোটা বাংলাতেই আগামী দিয়ে জিন্দালরা আরও বিনিয়গ করবেন।’

    উল্লেখ্য, নিজের প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা সংক্রান্ত একটি কথাও শোনা যায়নি তাঁর মুখে! শালবনির যে এলাকায় এই শিলান্যাস অনুষ্ঠানের অনুষ্ঠান সম্পন্ন হল, সেখান থেকে মাত্র ১৫ কিলোমিটার দূরেই চন্দ্রকোনা রোডের প্রয়াগ ফিল্ম সিটি। যেখানে সৌরভের ইস্পাত কারখানা গড়ে ওঠার কথা। স্বাভাবিকভাবেই, পশ্চিম মেদিনীপুরবাসী তাঁর মুখ থেকে প্রস্তাবিত ইস্পাত কারখানা সম্পর্কে কিছু আশার কথা শুনতে চেয়েছিলেন। বাস্তবে তা না হওয়ায় কিছুটা হতাশ মেদিনীপুরবাসী।

  • Link to this news (এই সময়)