২০০৮ সালের ২ নভেম্বর। তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কনভয়ে মাওবাদী হামলার পর ইস্পাত কারখানার কাজ স্থগিত হয়ে যায়। প্রায় ১৭ বছর পর সেই জমিতেই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করা হলো। ২০০৮ সালের মতো পরিস্থিতি নেই। বদল হয়েছে জঙ্গলমহলের পরিবেশের। জিন্দাল গোষ্ঠীর কর্ণধার সজ্জন জিন্দাল বললেন, ‘শালবনিতে গত ১০ বছরে অনেক উন্নতি হয়েছে। দেখে মনে হয়, এ রকমই হওয়া উচিত।’ উল্লেখ্য, তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের পাশাপাশি শালবনিতে এ দিন ২ হাজার একরের উপর একটি ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কেরও উদ্বোধন হয়েছে।
৮০০ মেগাওয়াটের দুটি ইউনিট তৈরি করা হচ্ছে। জিন্দালদের তরফে জানানো হচ্ছে, ৪২ মাসের মধ্যে প্রথম ইউনিট, ৪৮ মাসের দ্বিতীয় ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু হয়ে যাবে। কর্মসংস্থানের আশায় নিকটবর্তী প্রায় ৩০টি গ্রামের মানুষ জমি তুলে দিয়েছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই, স্থানীয় লোকজনের সংস্থানের বিষয়ে জোর দিচ্ছে জিন্দালরা। সজ্জন জানান, স্থানীয় ছেলেমেয়েদের যাতে উন্নয়ন হয় সেই কারণে একটা ট্রেনিং স্কুল খুলবে জিন্দালরা। ওই স্কুলে স্থানীয়দের ট্রেনিং দেওয়া হবে।
তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের কারণে যাতে দূষণ না ছড়িয়ে পড়ে, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে জিন্দালদের তরফে। সজ্জন বলেন, ‘এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে কোনও দূষণ হবে না, এটা আমরা নিশ্চিত করব।’ পাশাপাশি স্থানীয় কৃষকদের যাতে অসুবিধা না হয়, সে ব্যাপারেও খেয়াল রাখা হবে।
এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে উৎপাদিত পুরো বিদ্যুৎটাই নিয়ে নেবে রাজ্য। আগামী ২৫ বছরের জন্য বিদ্যুৎ কিনে নেওয়ার জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছে রাজ্য বিদ্যুৎ বন্টন সংস্থা এবং জেএসডব্লু এনার্জি। রাজ্যে বার্ষিক ৬০০ ইউনিট বিদ্যুৎ প্রয়োজন হয়। এই তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রে উৎপাদন শুরু করে রাজ্যের বিদ্যুতের চাহিদা অনেকটাই মিটবে বলে মনে করা হচ্ছে।