এই সময়, গোরুমারা: চার বছর অপেক্ষার পরে আজ, সোমবার পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হচ্ছে জলপাইগুড়ির নাগরাকাটা থানা এলাকার পানঝোরা বনবাংলো। পর্যটকদের কথা মাথায় রেখে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা হয়েছে গোরুমারার আওতায় থাকা বাংলোটি। অনলাইনের মাধ্যমে পর্যটকেরা বুকিংয়ের সুযোগ পাবেন। জানা গিয়েছে, পানঝোড়ায় চারটি কটেজ রয়েছে। প্রত্যেকটি কটেজকেই নতুন ভাবে গড়ে তোলা হয়েছে। কটেজে বিদ্যুতের সংযোগ রাখা হয়নি। সোলার সিস্টেমের ব্যবস্থা করা হয়েছে। খুব প্রয়োজন হলে জেনারেটর ব্যবহারের সুযোগ পাবেন পর্যটকেরা।
লাটাগুড়ি থেকে ১৫ কিলোমিটার, চালসা থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে প্রাকৃতিক শোভায় ভরপুর এই বনবাংলোর সামনে দিয়ে বয়ে গিয়েছে মূর্তি নদী। এক পাশে, চাপড়ামারির জঙ্গল। প্রায়ই সেখানে দেখা মেলে হাতি কিংবা হরিণের পালের। গোরুমারা নর্থ রেঞ্জের রেঞ্জার নীলাদ্রীকিশোর রায় বলেন, 'এই মুহূর্তে সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে। সোমবার থেকেই পর্যটকরা থাকতে পারবেন।'
ডুয়ার্সের বনাঞ্চলে বেড়াতে আসা পর্যটকদের কাছে এক সময়ে জনপ্রিয় ছিল এই বনবাংলো। চাপড়ামাড়ির ওয়াইল্ড লাইফ স্যানচুয়ারির গা ঘেঁষে নদীর ধারে থাকা এই বনবাংলোটি অতিমারীর সময়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে অধিকাংশ বনবাংলো পর্যটকদের জন্য খুলে দেওয়া হলেও পানঝোরা সম্পূর্ণ বন্ধ থাকে। অভিযোগ, ভরা পর্যটনের মরশুমেও চালু করার কোনও উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
সাড়ে তিন বছরের বেশি সময় ধরে সেটি বন্ধ রাখা হয়। এর পরে স্থানীয় যৌথ বন পরিচালন কমিটির দাবি মেনে বনদপ্তর নতুন ভাবে সেটিকে সংস্কারের উদ্যোগ নেয়। কমিটির সদস্য অমৃত ছেত্রী বলেন, 'অতিমারীর পর থেকে এই বন-বাংলোর সঙ্গে জড়িত বনবস্তিবাসীদের চরম সমস্যায় পড়তে হয়। তাঁরা আর্থিক কষ্টে পড়েন। অবশেষে বনবাংলো চালু হওয়ায় আমরা দুটো পয়সার মুখ দেখতে পারব।' বনবাংলোটির সংস্কারের কাজ শেষ হয়েছে কিছুদিন আগে। সোমবার থেকেই অনলাইনে বুকিংয়ের মাধ্যমে পর্যটকেরা সেখানে রাত্রিবাস করার সুযোগ পাবেন।