আজকাল ওয়েবডেস্ক: হাওড়ার ডোমজুড়ের রাজাপুরে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। এলাকারই ওএনজিসির রাসায়নিক কারখানায় ভয়াবহ এই আগুন লাগে। দূরদুরান্ত থেকে দেখা যাচ্ছে আগুনের লেলিহান শিখা। জানা যাচ্ছে, কারখানায় প্রচুর রাসায়নিক মজুত ছিল। সে কারণে আগুন লাগার সঙ্গে সঙ্গে তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। গোটা আকাশ কালো ধোঁয়ায় ঢেকে যায়।
সঙ্গে ঝোড়ো হাওয়ার কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে কারখানার সর্বত্র। মাঝেমধ্যে শোনা যাচ্ছে বিস্ফোরণের শব্দও। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে দমকলের ১৪টি ইঞ্জিন। ঘটনাস্থলে মোতায়েন রয়েছে ডোমজুড় থানার পুলিশও। পাশাপাশি, এলাকায় পৌঁছেছে বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীও।ইতিমধ্যেই কারখানার মধ্যে থাকা শ্রমিকদের যুদ্ধকালীন তৎপরতায় বের করে আনা হয়েছে। জানা যাচ্ছে, কারখানার মধ্যেই শ্রমিকরা ঘর বেঁধে থাকেন। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে আলামপুর এবং অন্যান্য এলাকা থেকে ইঞ্জিন আনা হচ্ছে।
কিন্তু এখনও পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়নি। দমকল আধিকারিকরা জানিয়েছেন, আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চলছে। বিপুল পরিমাণ রাসায়নিক মজুত থাকায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সময় লাগছে। তবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। বিস্ফোরণের শব্দে কেঁপে উঠছে এলাকা। প্রাথমিক অনুমান, রান্নার সিলিন্ডার ফেটে ভেসে আসছে বিস্ফোরণের শব্দ।
প্রসঙ্গত, রবিবার রাত সাড়ে দশটা নাগাদ আগুন লাগে ৬৫ নম্বর পাথুরিয়াঘাটা স্ট্রিটে। ওই ভবনের চারতলায় একটি কাপড়ের গুদাম রয়েছে। সেখানেই আচমকা আগুন লাগে। সেই সময় গুদামের মধ্যে কয়েকজন ছিলেন। গেটের দরজা বন্ধ থাকায়, ছাদের উপরে ওঠার চেষ্টা করেন তাঁরা। কিন্তু ছাদের দরজাও তালাবন্ধ থাকায় আর পালাতে পারেননি।
দমবন্ধ হয়ে জ্ঞান হারান সকলে। অগ্নিকাণ্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দমকলের দশটি ইঞ্জিন পৌঁছয়। ঘণ্টাখানেক পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। গুরুতর আহত অবস্থায় তিনজনকে উদ্ধার করে মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে দু'জনকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসক।