মুর্শিদাবাদ হিংসার তদন্তে বড় সাফল্য রাজ্য পুলিশের, ওড়িশা থেকে গ্রেপ্তার ছয় জন...
আজকাল | ২২ এপ্রিল ২০২৫
আজকাল ওয়েবডেস্ক: মুর্শিদাবাদের সুতি এবং সামশেরগঞ্জ এলাকায় হিংসার ঘটনার তদন্তে বড়সড় সাফল্য পেল রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স বা এসটিএফ। সোমবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ-এর একটি তদন্তকারী দল ওড়িশার ঝারসুগুদা থেকে ছ'জনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের মধ্যে দু'জন সামশেরগঞ্জের জাফরাবাদে বাবা ছেলেকে খুনের ঘটনায় সঙ্গে জড়িত জিয়াউল শেখ নামে এক ব্যক্তির সন্তান। যদিও এই গ্রেপ্তারির ঘটনা নিয়ে জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার কোনও শীর্ষ আধিকারিক মন্তব্য করতে রাজি হননি। সূত্রের খবর এসটিএফ- এর হাতে ধৃত যুবকদের ইতিমধ্যেই মুর্শিদাবাদ জেলায় নিয়ে আসার জন্য প্রস্তুতি শুরু হয়েছে ।
এসটিএফ সূত্রের খবর, সুতি এবং সামশেরগঞ্জ এলাকায় যে হিংসার ঘটনা ঘটেছিল তার সঙ্গে যুক্ত বেশিরভাগ দুষ্কৃতী স্থানীয় বিভিন্ন গ্রামের বাসিন্দা। হিংসার ঘটনার তদন্ত শুরু হওয়ার পর জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার তরফ থেকে প্রায় ২৯০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । কিন্তু পুলিশি অভিযান শুরু হওয়ার পর অনেক অভিযুক্তই এলাকা ছেড়ে পালিয়ে গিয়েছে। তাদের অনেকেই ভিন রাজ্যে পরিযায়ী শ্রমিক হিসেবে কাজ করতেও শুরু করে দিয়েছে।
সূত্রের খবর জাফরাবাদে খুনের ঘটনার পর জিয়াউলের দুই ছেলে ওড়িশার ঝারসুগুদা এলাকায় একটি গোপন আস্তানায় লুকিয়ে ছিল ।এসটিএফের তরফে বেশ কয়েকজনের মোবাইল ফোনের টাওয়ার লোকেশন নজরদারি করার পর ওড়িশায় অভিযান চালানো হয় এবং সেখান থেকেই ধরা হয়েছে জিয়াউলের দুই ছেলে সহ মোট ৬ জনকে ।প্রসঙ্গত জাফরাবাদে বাবা ও ছেলে খুনের ঘটনায় এর আগে মোট চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে । তবে জিয়াউলের দুই ছেলে জাফরাবাদে খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কিনা এবং তাদের নাম পরিচয় পুলিশের তরফ থেকে জানানো হয়নি ।
পুলিশের এক আধিকারিক নাম না প্রকাশের শর্তে জানিয়েছেন,ধৃত ছ'জনের বিরুদ্ধে সুতি এবং সামশেরগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন বাড়িতে ভাঙচুর ,অগ্নি সংযোগের মতো গুরুতর অভিযোগ রয়েছে। জিয়াউলের দুই ছেলে খুনের ঘটনার সঙ্গে সরাসরি যুক্ত কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ধৃতদেরকে জঙ্গিপুর আদালতে পেশ করে তাদের পুলিশি হেফাজতের আবেদন করা হবে বলে সূত্রের খবর।