অরূপ বসাক: সর্ষের মধ্যেই ভূত! আরও একবার প্রমাণ হল মালবাজার থানায়। পুলিস ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে সেখানকারই এক সিভিক ভলান্টিয়ারের বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত মনিরুল ইসলাম মালবাজার থানাতেই কর্মরত ছিলেন।
পুলিস সূত্রে খবর, সেনাবাহিনীর অস্থায়ী শ্রমিক নিয়োগের ক্ষেত্রে আবেদনকারীদের কাছ থেকে পুলিস ক্লিয়ারেন্স সার্টিফিকেট চাওয়া হয়ে থাকে। এই সার্টিফিকেট সাধারণত অনলাইনে আবেদন করে, নির্দিষ্ট সময়সীমা ও ভেরিফিকেশনের মাধ্যমে প্রদান করা হয়। কিন্তু মনিরুল ইসলাম অফলাইন পদ্ধতিতে ২২ জন আবেদনকারীর নামে ভূয়ো সার্টিফিকেট তৈরি করে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি সামনে আসতেই মালবাজার থানার পক্ষ থেকে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। রবিবার রাতে কয়েকজন যুবক থানায় এসে সার্টিফিকেটের পিন কোড সংশোধনের অনুরোধ করলে বিষয়টি পুলিসের সন্দেহের উদ্রেক করে। তদন্তে নামতেই উঠে আসে মনিরুল ইসলামের নাম।
মনিরুলকে গ্রেফতার করে সোমবার জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে তোলা হয়। পুলিস জানিয়েছে, অভিযুক্তকে হেফাজতে নিয়ে ঘটনার পূর্ণাঙ্গ তদন্ত করা হবে। পাশাপাশি, এই চক্রের সঙ্গে আরও কেউ জড়িত কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরেই এমন জালিয়াতি চলছিল।
প্রসঙ্গত, অভিযুক্ত সিভিক ভলেন্টিয়ারকে প্রশ্ন করা হলেও তিনি এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাননি।