• ‘কুৎসা করতে পারবেন, অবজ্ঞা নয়’, রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরে বার্তা মমতার
    প্রতিদিন | ২২ এপ্রিল ২০২৫
  • সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শালবনিতে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের শিলান্যাস করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার গোয়ালতোড়ে সৌরবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উদ্বোধন। আরও একাধিক সংস্থা  রাজ্যের বিনিয়োগের জন্য মুখিয়ে রয়েছে। দিন যত যাবে, ততই বাড়বে শিল্প। কর্মসংস্থানের সুযোগও বাড়ছে ক্রমশ। সজ্জন জিন্দলের সামনে দাঁড়িয়ে রাজ্যের উন্নয়নের খতিয়ান তুলে ধরলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দিলেন বিরোধীদের কুৎসার জবাবও।

    সোমবার শালবনিতে দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, “এই জেলায় জিন্দলদের একটি সিমেন্ট হাব আছে। ২ হাজার একর এলাকায় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক হচ্ছে। স্টিল ট্রেনিং সেন্টার করার অনুরোধ করব। যাতে স্থানীয় যুবক-যুবতী এবং অন্যান্যরা কাজ শিখতে পারেন।” তিনি আরও বলেন, “মেদিনীপুরে ৯টা ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক রয়েছে। বাংলা এখন দেশের সিমেন্ট হাব। বাংলায় ৬টি ইকোনমিক করিডোর তৈরি করেছি। পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে ৭২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ হয়েছে। ৫টি বড় সংস্থা আসছে। এছাড়া ২ হাজার ৪৮৩ একর জমিতে জঙ্গলসুন্দরী কর্মনগরী তৈরি হয়েছে। সেল গ্যাস আসানসোল ও দুর্গাপুরে। অশোকনগরে ওএনজিসি। বানতলায় লেদার হাব। নিউটাউনে সিলিকন ভ্যালি। তাজপুরেও শিল্প আসছে। বাড়বে কর্মসংস্থান।” বিরোধীদের কুৎসার জবাব দিয়ে তিনি আরও বলেন, “বিজিবিএসে বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে ১৯ লক্ষ কোটির। ১৩ লক্ষ কোটির বেশি বাস্তবায়িত। বাকি কাজও চলছে। অনেকেই বলেন, বাংলায় কিছুই হয় না। আপনারা আমার কুৎসা করতে পারেন। অবজ্ঞা নয়।”

    এদিন দেবও বিরোধীদের সমালোচনার জবাব দেন। মুখ্যমন্ত্রী এবং সজ্জন জিন্দলের সামনে মঞ্চে দাঁড়িয়ে ঘাটালের তারকা তৃণমূল সাংসদ বলেন, “মনে হচ্ছে দিদির স্বপ্ন এগিয়ে বাংলা প্রত্যেকদিন রূপায়ণ হচ্ছে। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ আজ। যারা বলছে রাজ্যে শিল্প নেই, কিছু হচ্ছে না, তাদের আজ দেখা উচিত। ১৬০০ মেগাওয়াটের থার্মাল প্ল্যাট হচ্ছে। কত বড় রাজ্যের লাভ হচ্ছে, তা দেখা উচিত। আমাদের মুখ্যমন্ত্রী ব্যবসা, চাকরি নিয়ে ভাবছেন তা আজ প্রমাণ হয়ে গেল। অনেকে কাজ পাবেন। উন্নয়ন হবে। কর্মসংস্থান হবে। আমি মেদিনীপুরের ছেলে। এই কাজটি মেদিনীপুরেই হচ্ছে, তাই খুব খুশি।”

    সজ্জন জিন্দলকে শুভেচ্ছা জানিয়ে দেব আরও বলেন, “আমি আশা করি আরও বড় শিল্পপতি রাজ্যে আসবেন। কাজ করবেন। রাজ্যের পক্ষ থেকে যতটা সম্ভব সহযোগিতা করব।” বলে রাখা ভালো, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করে রাজ্য সরকার। তার ফলে বিনিয়োগ আসছে। বাড়ছে রাজ্যের আয়। বিদেশ থেকেও লগ্নি এনেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে তা সত্ত্বেও প্রায়শয়ই রাজ্যে শিল্প, কর্মসংস্থানের সুযোগ নিয়ে প্রশ্ন তোলে বিরোধীরা। যদিও মমতা বলেন, “আমরা বলি না। করে দেখাই।”
  • Link to this news (প্রতিদিন)