জলপাইগুড়ির ময়নাগুড়ি থানার চারের এলাকার বাসিন্দা সুজিত দে ভৌমিক। স্ত্রী ও নাবালক ছেলেকে নিয়ে ছিল তাঁর সংসার। অভিযোগ, পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েছিল সুজিত দে ভৌমিক। সেই পরকীয়ার কথা জানতে পেরে গিয়েছিলেন স্ত্রী। তারপর থেকেই স্বামী ও স্ত্রীর মধ্যে বিবাদ তুঙ্গে উঠেছিল। সংসারে নিত্যদিন হত অশান্তি। কিন্তু সেই বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক থেকে কোনওভাবে সরে আসেনি ওই ব্যক্তি।
এই অবস্থায় ২০২৩ সালের জুন মাসে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ফের বিবাদ হয়। সেসময় নাবালক ছেলের সামনে কুড়ুল দিয়ে কুপিয়ে খুন করে ওই ব্যক্তি। রক্তে ভেসে যায় ঘর। ঘটনাস্থলেই ওই মহিলা মারা যান বলে খবর। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে। অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে স্ত্রীকে খুনের কথা স্বীকার করে ওই ব্যক্তি। ওই ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল। জলপাইগুড়ি জেলা আদালতে মামলা শুরু হয়। মামলার শুনানিতে নাবালক সন্তান-সহ ১৫ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়। বাবা মাকে খুন করেছে। সেই কথা আদালতে জানিয়েছিল ওই নাবালক। সমস্ত তথ্য ও সাক্ষ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে অ্যাডিশনাল থার্ড কোর্টের বিচারক বিপ্লব রায় অভিযুক্তকে দোষী সাব্যস্ত করেন। আজ সোমবার দোষীকে ফাঁসির সাজা শুনিয়েছেন বিচারক।