সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দীর্ঘ বৈঠকেও মিলল না রফাসূত্র। ঘড়ির কাঁটায় আটটা পেরিয়ে গেলেও প্রকাশিত হল না যোগ্য-অযোগ্যর তালিকা। এরপরই এসএসসি ভবনের বাইরে ক্ষোভে ফেটে পড়লেন ‘যোগ্য’ চাকরিহারারা। বললেন, “আমাদের সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা চলবে না। ২ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে সরকারকে।” তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত ঘেরা চলবে, সাফ জানালেন চাকরিহারারা।
শীর্ষ আদালতের রায়ে আচমকা চাকরি হারিয়েছেন রাজ্যের প্রায় ২৬ হাজার শিক্ষক ও অশিক্ষক কর্মী। যোগ্য-অযোগ্য বাছাইয়ে এখনও বিস্তর অনিশ্চয়তা। চাকরি বাতিলের নির্দেশ পর থেকেই চাকরিহারাদের একাংশের দাবি, যোগ্য-অযোগ্য কারা, সেই সংক্রান্ত পৃথক তালিকা প্রকাশ করতে হবে। গত সপ্তাহে এসএসসি দপ্তরে শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসুর উপস্থিতিতে কমিশনের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। সেখানেই আশ্বাস মেলে, ২১ এপ্রিল যোগ্য-অযোগ্যর পৃথক তালিকা প্রকাশ করা হবে। এসএসসি সূত্রের খবর ছিল, এদন সন্ধে ছ’টার মধ্যে এই তালিকা আপলোড করা হবে। কিন্তু সেই আশ্বাসের বাস্তবায়িত হয়নি। এক পর্যায়ে এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদারের সঙ্গে আলোচনা করতে আচার্য ভবনের ভিতরে যান চাকরিহারাদের ১৩ প্রতিনিধি।
সওয়া আটটা নাগাদ বৈঠক শেষে আচার্য ভবন থেকে বের হন চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা। এরপরই ক্ষোভে ফেটে পড়েন চাকরিহারা চিন্ময় মণ্ডল-সহ অন্যান্যরা। তাঁরা জানান, এসএসসি কোনও তালিকা প্রকাশ করছে না। তবে তালিকা প্রকাশিত না হওয়া পর্যন্ত ঘেরাও চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাঁদের কথায়, “আপনারা ভিতরে কাজ করুন। কিন্তু তালিকা প্রকাশ না হওয়া পর্যন্ত এই আন্দোলন-ঘেরাও চলবে।” চিন্ময় বলেন, “আমি যদি যোগ্য না হয়ে থাকি, আমাকে যদি অযোগ্য বলে চাকরি কেড়ে নেওয়া হয়, যতদূর যেতে হয় যাব। সম্মান নিয়ে ছেলেখেলা করতে দেব না।” রাজ্য সরকারকে তোপ দাগলেন তিনি। বললেন, “মুখ্যমন্ত্রীকে বলতে হবে, ওঁর সরকার, ওঁর শিক্ষামন্ত্রীর জন্য আজ যোগ্যদের এই পরিস্থিতি। ক্ষতিপূরণ হিসেবে দিতে হবে ২ কোটি টাকা।” সব মিলিয়ে এসএসসি ইস্যুতে কার্যত রণক্ষেত্রের চেহারা নিয়েছে আচার্য ভবন চত্বর।