কেউ বলছেন ‘রাতের পর রাত জাগব। আমাদের কেউ সরাতে পারবে না।’ কেউ বলছেন, ‘আমাদের গুলি করে দিক, মেরে দিক। কিন্তু যোগ্য-অযোগ্যদের তালিকা না পেলে আমরা সরছি না।’ এসএসসি ভবনের সামনে লাগাতার অবস্থান বিক্ষোভের হুঁশিয়ারি চাকরিহারা প্রার্থীদের। রাত প্রায় সাড়ে দশটা পর্যন্ত (প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত) এসএসসি ভবনেই রয়েছেন চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার-সহ অন্যান্য আধিকারিকেরা।
এ দিন এসএসসি অধিকারিকদের জন্য কিছু খাবারের প্যাকেট নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল, সেটিকেও কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। চাকরিহারাদের মধ্যে থেকেই একজন বলেন, ‘আমাদের রাস্তায় বসিয়ে দিয়ে আজকে ওঁরা এসব খাবেন। আপনারা দেখুন সকলে।’ চাকরিহারা শিক্ষকদের অভিযোগ, এ দিন অবস্থান বিক্ষোভ চালানো হলেও পুলিশের তরফে জল, টয়লেটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে না।
সোমবার ৬টায় যোগ্য-অযোগ্যদের একটি তালিকা প্রকাশ করার কথা ছিল এসএসসির। তবে, সোমবার রাত পর্যন্ত কোনও তালিকা প্রকাশ করা হয়নি। চাকরিহারাদের এক প্রতিনিধি বলেন, ‘প্রথম থেকে তৃতীয় কাউন্সেলিংয়ের নাম দেবে বলা হয়েছে। বাকিদের অযোগ্যদের প্রমাণের চেষ্টা করা হচ্ছে। আমাদের যোগ্যদের সংখ্যা কমিয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। এটা আমরা মানব না।’
চাকরিহারাদের প্রতিনিধিরা বেরিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গেই এসএসসি ভবনের দুটি গেট অবরুদ্ধ করে দিয়ে অবস্থান বিক্ষোভ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন চাকরিহারা শিক্ষকরা। কেন আজ তালিকা দেওয়া হলো না? বৈঠক শেষে চাকরিহারাদের প্রতিনিধি বলেন, ‘প্যানেলের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার পরে যে সমস্ত কাউন্সেলিং হয়েছিল, তার তালিকা প্রকাশ করতে পারবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে এসএসসি।…একজনের চাকরি কাড়া হলে গোটা রাজপথ অচল করব’
আরেক প্রার্থীর কথায়, ‘এসএসসি আজ তালিকা প্রকাশ করতে চেয়েছিল। সেটা বিভাজনমূলক তালিকা। উনি আরও আইনি পরামর্শ নেওয়ার জন্য দু’দিন সময় চেয়েছেন।’ তবে যতদিন না পর্যন্ত সম্পূর্ণ ‘যোগ্য-অযোগ্য’দের তালিকা প্রকাশিত হচ্ছে, ততদিন এই অবস্থান চালিয়ে যাওয়া হবে বলেও জানাচ্ছেন অনেকে।