রামপুরহাট কলেজে অধ্যাপনা করার সময় নিয়মিত সাইকেল চালাতেন আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিধায়ক এবং মন্ত্রী হওয়ার পরেও তাতে ছেদ পড়েনি। এখনও তাঁর ইচ্ছা সাইকেল চালিয়ে রামপুরহাট শহরে ঘুরে বেড়ানোর। কিন্তু এখন সেই কাজটা করতে পারেন না তিনি। সৌজন্য: রামপুরহাটের যানজট। এই যানজটের কারণেই এখন সাইকেল চালানো ছাড়তে হয়েছে তাঁকে। এই নিয়ে আক্ষেপ তাঁর।
রামপুরহাটে যানজটের অভিযোগ নতুন কিছু নয়। এখন সেই যানজট আরও বেড়েছে। এর জেরে নাজেহাল রামপুরহাটের বাসিন্দারা। এই নিয়ে সাধারণ মানুষের মতই ক্ষোভ প্রকাশ করলেন রামপুরহাটের বিধায়ক তথা রাজ্য বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার আশিষ বন্দ্যোপাধ্যায়।
একেই রামপুরহাট শহরে রাস্তা অপরিসর। তার উপর রাস্তা দখল করে চলছে ব্যবসা। রাস্তার উপরেই গড়ে উঠেছে দোকান। সেই সঙ্গে রাস্তার ওপরে রেখে বিক্রি করা হচ্ছে নানা সামগ্রী। এর সঙ্গেই বেড়েছে টোটো-অটোর সংখ্যা। দিন দিন গুরুত্ব বাড়ছে রামপুরহাট শহরের। কিন্তু এখনও সেখানে উপযুক্ত পার্কিং ব্যবস্থা গড়ে ওঠেনি বলে অভিযোগ বাসিন্দাদের। এই অবস্থার পরিবর্তন করতে একাধিকবার ডেপুটেশন দেওয়া হয়েছে রামপুরহাটের মহকুমা শাসক, এসডিপিও এবং পুরসভার চেয়ারম্যানের কাছেও। যানজট সমাধানের বিষয়ে প্রশাসনের আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন রামপুরহাটের বিধায়কও। তার পরেও অবস্থার কোনও পরিবর্তন হয়নি বলেই অভিযোগ।
এত দিন এই নিয়ে ক্ষোভ জানিয়েছেন সাধারণ মানুষ। এ বার রামপুরহাটের নিত্যদিনের যানজট নিয়েই মুখ খুললেন স্বয়ং রাজ্যের ডেপুটি স্পিকার তথা রামপুরহাটের বিধায়ক। রামপুরহাট শহরের ট্রাফিকের অবস্থা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। এই সময় অনলাইনকে তিনি বলেন, ‘আগে একটু সাইকেল নিয়ে বের হতাম । কিন্তু অটো- টোটোর ভিড় এবং এই যানজটের কারণে এখন আর তা পারিনা। সত্যি বলতে ট্রাফিকের অবস্থা খুব খারাপ।’ তিনি জানান, এই বিষয় নিয়ে আগেও প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি । এরপরে জেলাশাসক ও পুলিশ সুপারের সঙ্গেও বিষয়টা নিয়ে একবার আলোচনা করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করা হবে।
কেন এত দিনেও সেই সমস্যা মেটেনি তার একটা কারণও দিয়েছেন বিধানসভার ডেপুটি স্পিকার। তিনি বলেন, ‘এতদিন যে ব্যবস্থাগুলো নেওয়া হয়েছে সেগুলির মধ্যে বোধহয় ত্রুটি আছে। আমার মনে হয় সেই জন্যই তা কার্যকরী হচ্ছে না।’
রামপুরহাটের বাসিন্দা তথা নাট্যকর্মী অমিতাভ হালদার বলেন, ‘স্বয়ং বিধায়কই এখানের যানজট নিয়ে নাজেহাল। তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কেমন তা সহজেই বোঝা যায়।’